দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউন সত্ত্বেও রাজ্যের জেলায় জেলায় এখনও বহু মানুষ এক জায়গায় জড়ো হয়ে গল্পগুজব করছেন বলে নির্দিষ্ট খবর রয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। যাতে লক ডাউনের প্রকৃত উদ্দেশ্য তথা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জীবনে অনেক আড্ডা মারার সুযোগ পাবেন। ক্যারাম খেলার সুযোগও পাবেন। ক’টা দিন প্লিজ ঘরে থাকুন। নিজের পরিবারকে বিপদ থেকে বাঁচান।”

এদিন সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে। দয়া করে সেটাকে মেনে চলুন। আমি খবর পাচ্ছি বহু জায়গায় এখনও রাস্তার মোড়ে লোকজন দল বেঁধে আড্ডা মারছেন। মাঠে খেলাধূলা হচ্ছে। প্লিজ এটা করবেন না।”

মুখ্যমন্ত্রী বলার আগে এদিন দুই চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী এবং সুকুমার মুখোপাধ্যায় সবিস্তারে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়। সুকুমারবাবু বলেন, “এখন ভারতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে। এটা যাতে তৃতীয় স্টেজ অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণে না ঢুকতে পারে তার জন্য আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। নাহলে বড় বিপদ হয়ে যাবে।” চিকিৎসকদের কথার রেশ ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিৎসকদের কথাটা শুনুন। তাতে আপনাদেরও মঙ্গল হবে আর দেশ-রাজ্যেরও ভাল হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “ক’টা দিন সেদ্ধ ভাত খেয়ে ঘরে থাকুন। মনে রাখবেন অনেক রাজ্যে কিন্তু মানুষ সেদ্ধ ভাতও পাচ্ছেন না।” বাংলার জনঘনত্বের কথা উল্লেখ করে সংক্রমণের বিপদের ব্যাপারেও বারবার সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শহর, গ্রাম বা মফস্বলে যে অনেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এখনও রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এ নিয়ে সরকারের উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। শুরুর দিকে পুলিশ কিছু জায়গায় লাঠি উঁচিয়ে সক্রিয় হলেও জনমানসে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রীই বার্তা দিয়ে বলেন, লকডাউন মানে মানুষের উপর বলপ্রয়োগ নয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজও করে দেয় নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী এদিনও জনগণের সচেতনতার উপরেই বারবার জোর দেন।

উদাহরণ দিয়ে বলেন রাজ্যে এখন যে ৩১ জন করোনা পজিটিভ রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৭ জন চারটি পরিবারের। সুতরাং দূরত্বই করোনা ঠেকানোর একমাত্র ওষুধ। ফাইল চিত্র৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here