দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বিক্রম। বিজ্ঞানীদের স্বান্তনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভারত তার বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত। এখন আমাদের সাহসী হতে হবে। আমরা অবশ্যই সাহসী হব। এরপর শনিবার আশার কথা শুনিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেন চন্দ্রযান-২ মিশনের আয়ু এক বছর। ততদিন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে অরবিটার। দূর থেকে তা চাঁদকে পর্যবেক্ষণ করবে। অর্থাৎ চন্দ্রযান-২ এর মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যর্থ। কিন্তু ৯৫ শতাংশ এখনও কাজ করবে। অর্থাৎ চন্দ্রযান-২ এখনই শেষ হচ্ছে না। এখনও তার অনেক বাকি আছে।

ইসরো থেকে বলা হয়েছে, চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করার কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদ থেকে সে যখন মাত্র দু’কিলোমিটারের সামান্য বেশি দূরত্বে, তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু ল্যান্ডার বিক্রম বা রোভার প্রজ্ঞা ছিল চন্দ্রযান-২ মিশনের মাত্র পাঁচ শতাংশ। বাকি ৯৫ শতাংশে আছে চন্দ্রযান-২ অরবিটার। তা সাফল্যের সঙ্গে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে।

আগামী বছরেই অরবিটার চাঁদের ছবি তুলবে। ইসরোকে পাঠাবে সেই ছবি। অরবিটার খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবে বিক্রমকেও। তার ভিতরে যে রোভারটি রয়েছে, তার আয়ু ১৪ দিন। অন্যান্য দেশের তুলনায় চন্দ্রযান-২ মিশনে খরচ হয়েছে খুব কম। তাতে ৯৫ শতাংশ সফল হওয়াও কম কথা নয়। এই অভিযান কতদূর কঠিন ছিল, তার বর্ণনা দিয়ে এক বিজ্ঞানী বলেছেন, এ যেন একটা চলন্ত ট্রেন থেকে আর একটা চলন্ত ট্রেনের মধ্যেকার কোনও বস্তুকে লক্ষ্য করে গুলি করা। দু’টি ট্রেনের মধ্যেকার দূরত্ব হাজার হাজার কিলোমিটার।

চন্দ্রযান-২ মিশনে খরচ হয়েছে ১৪ কোটি ডলার। আমেরিকা যখন চাঁদে অ্যাপোলো মিশন পাঠিয়েছিল, খরচ করেছিল ১০ হাজার কোটি ডলার। ভারতের চন্দ্রযান-২ আপাতত পাঁচ শতাংশ ব্যর্থ হলেও আগামী দিনের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রেখে গেল। ভবিষ্যতে কেবল চন্দ্রাভিযান নয়, মঙ্গল অভিযানেও সাহায্য করবে চন্দ্রযান-২ এর অভিজ্ঞতা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here