দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃএকুশের ভোটের আগে এ বার নয়া প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পোশাকি নাম—‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান।’
সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ওই সভা থেকেই তিনি ঘোষণা করেন, দুয়ারে সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন প্রকল্প আনছে নবান্ন। এই প্রকল্পের আওতায় বড় বড় কাজ হবে না। তবে ছোট ছোট কাজ করা যাবে মিশন মোডে। যেমন কোনও পাড়ায় একটি রাস্তার উপর কালভার্ট নেই। সেটায় অনেক দিন ধরে নজর পড়েনি। সেটা এ বার এই প্রকল্পের মাধ্যমে করা যাবে।
ভোটের আগে ইতিমধ্যে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হয়েছে। যে প্রকল্প প্রতিদিনই নতুন মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলছে বলে সরকার ও শাসক দলের দাবি। পাড়ায় পাড়ায় সরকারের থিমও তাই। মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন প্রশাসনিক সভায় প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্প ব্যাখ্যা করে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, টার্সিয়ারি স্টেজে অর্থাৎ তৃতীয় স্তরে অনেক সময়ে পরিষেবার কিছু গ্যাপ থাকে। যা এই প্রকল্পের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে। যেমন কোনও স্কুলে একটা অতিরিক্ত ক্লাসরুম দরকার, বা কোনও সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আরও একজন চিকিৎসক পেলে ভাল হয়, কিংবা কোথাও জল সরবরাহের পাইপ পাতা হয়ে গিয়েছে, একটা ট্যাপ লাগালেই হবে—এ ধরনের প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়িত করা হবে।


মুখ্য সচিব জানান, ১ জানুয়ারি এ ব্যাপারে সরকার বিজ্ঞাপন দেবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রকল্প চলবে। পাড়ার সমস্যা, পুরসভা এলাকার একেবারে স্থানীয় সমস্যার এর মাধ্যমে সমাধান করা হবে—‘পাড়ায় সমাধান’, নতুন বছরে নতুন অভিযান। পরিকাঠামো, পরিষেবা ও কর্মীর ক্ষেত্রে নিচুতলায় যে গ্যাপ রয়েছে তা এই প্রকল্পের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
মুখ্যসচিবের কথায়, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্প স্থানীয় ভাবে সমষ্টির সমস্যা সমাধানে কার্যকরী হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, একেবারে নিচুতলার মানুষের সঙ্গে সরকার তথা শাসক দলের যে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে ভোটের আগে তা দূর করাই সম্ভবত এই সব প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ভোটে তা সত্যিই কতটা ডিভি়ডেন্ড দেবে তা পরে নিশ্চয়ই বিচার করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here