দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বড় চাঞ্চল্যের কথা শোনাল ভারত সরকার। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দিল্লিতে তবলিঘি জামাতের জমায়েতকে কাঠগড়ায় তুলল কেন্দ্র। দিল্লির নিজামুদ্দিনের ওই জমায়েতের কারণে অন্তত ৯ হাজার মানুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। যত দিন এগোবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লি জুড়ে।

ওই জমায়েতের অংশগ্রহণকারী ৭,৬৮৮ জন ভারতীয় এবং ১,৩০৬ জন বিদেশকে চিহ্নিত করেছে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। যারা ওই ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিল। সূত্রের খবর, তবলিঘি জামাতের সদস্যদেরও চিহ্নিত করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে যে খবর রয়েছে তাতে, যে ১,০৫১ জন বিদেশিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২৩টি রাজ্য আর চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিনরাত এক করে তবলিঘি জমাতের স্থানীয় কর্মীদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিহ্নিতকরণের কাজ এখনও চলছে। তবে বেশিরভাগ বিদেশি এবং ভারতীয় কর্মীকেই খুঁজে বের করা গিয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত ভারতে কোভিড–১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩৪। এঁদের মধ্যে ৪০০ জনই ওই জমায়েতের সঙ্গে জড়িত। বেশি আক্রান্ত তামিলনাড়ুতে। সেখানে জমায়েতে যোগ দেওয়া ১৯০ জন কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত।
এরপরের সারিতে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৭১), দিল্লি (৫৩), তেলঙ্গানা (২৮), অসম (১৩), মহারাষ্ট্র (১২), আন্দামান (১০), জম্মু–কাশ্মীর (৬) এবং পুদুচেরি–গোয়া (দু’জন করে)। দিল্লির নিজামুদ্দিনে জমায়েতের পর অনেকেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাওয়ার পরে দিল্লির ওই বাড়িতে রয়ে গিয়েছিলেন ২,৩৩৫ জন। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানান, ওই বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে আনা হয়েছে। যাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আর বাকিদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here