দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দার্শনিকরা বলেন রাজনীতি হল আর্ট অফ পসিবিলিটি। সম্ভাবনার শিল্প। কখন কি হয় কেউ বলতে পারে না। সেটা আরও একবার প্রমাণ হল শতাব্দী এপিসোডে। বৃহস্পতিবার থেকে জল্পনা শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকালে তিনি জানান, শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন। এমন সব কথা বলছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ তাতে অনেকেই মনে করছিলেন গেরুয়া পথে যাত্রা করতে চলেছেন শতাব্দী। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সন্তুষ্ট শতাব্দী জানিয়ে দেন, তিনি মমতাদির সৈনিক।


তারপর আজ সপরিবারে ছুটি কাটাতে গোয়া যাচ্ছেন শতাব্দী রায়। ফিরবেন ২৫ জানুয়ারি। গত দুদিন হয়তো স্ট্রেস গেছে খুব। সেসব থেকে মুক্ত হতেই হয়তো হাওয়া বদল করতে চাইছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, ফিরেই ভোটের কাজে নামবেন কোমর বেঁধে।

এদিন ফ্যান পেজে শতাব্দী লিখেছেন, “সামনে নির্বাচন। যাঁরা তৃণমূলের কর্মী বা নেতা, আমার মতোই তাঁদের কিছু ক্ষোভ বা বক্তব্য থাকতেই পারে। আমরা সেগুলি দলের মধ্যেই মেটাব। ভোটে জয়ের পর পর্যালোচনা করব। এখন সবাই হাতে-হাত মিলিয়ে লড়াই করার সময়। আসুন, সবাই মমতা’দির নেতৃত্বে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলার স্বার্থে কাজ করি”।


তিনি আরও লিখেছেন, “আমি যখন তৃণমূলে এসেছিলাম, তখন সিঙ্গুর আন্দোলন চলছে। দল ক্ষমতায় নেই। কঠিন সন্ধিক্ষণ। শুধু দলকে ভালোবেসে, মমতা’দিকে ভালোবেসে আমি এসেছিলাম। আজ আবার যখন সবাই বঙ্গ রাজনীতির সন্ধিক্ষণ বলছেন, তখন আমরা দলের মঞ্চ থেকেই লড়াই করার কর্তব্য থেকে পিছিয়ে যাব না”।


বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা চলেছে শতাব্দীকে নিয়ে। বক্স টু বক্স ফুটবল। শেষমেশ খেতে বসা গোল একেবারে লাইন থেকে সেভ করেছেন কুণাল ঘোষ। দিদিতেই আস্থা রেখেছেন শতাব্দী। সেই পর্বের পরে গোয়ায় চললেন শতাব্দী। যেখানে এখন ফুটবলের মহাযুদ্ধ আইএসএল চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here