দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মনে পড়ে কড়া লকডাউনের সময়ের কথা? গোটা দেশ তখন ভয়ে ঘরবন্দি। শুনশান রাস্তাঘাট। কাজকর্ম কার্যত লাটে উঠেছে। কিন্তু সারা দেশের নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ঝকঝকে রাখার গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁদের কাঁধে। সেই সাফাই কর্মীদেরই একজন এইমসের মণীশ কুমার। শনিবার পৃথিবীর সবথেকে বড় টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে দেশে। এদিন সকালে সেই মণীশই প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন।

এদিন মণীশ যখন ভ্যাকসিন নেন তাঁর সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষবর্ধন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মণীশের পিঠ চাপড়ে দেন তিনি। তারপরেই এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া ভ্যাকসিন নেন।

চাতকের মতো তাকিয়ে ছিল জনগণ। কবে আসবে ভ্যাকসিন! যে ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ১৩ লক্ষের বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে তার প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। অবশেষে শনিবার সকালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।

দুটি কোভিড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন। একটি তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং অন্যটি ভারত বায়োটেক।
কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমেই জানিয়েছিল কোভিড যুদ্ধে সামনের সারির সেনানী তথা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররাই প্রথমে ভ্যাকসিন নেবেন। তিন কোটি যোদ্ধাকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এদিনও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড যোদ্ধাদের ঋণ শোধ করা হচ্ছে ভ্যাকসিন দিয়ে।
গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে এই মারণ ভাইরাস। শেষপর্যন্ত ভারতেই তৈরি করা গিয়েছে ভ্যাকসিন। আর তার প্রয়োগ শুরু হয়ে গেল। আগামী কয়েকদিন ধরে ধাপে ধাপে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকাকরণ চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here