দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতের আবহেই ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সকাল থেকে। আগরতলা পুরনিগম -সহ ত্রিপুরার মোট ১৩টি পুর অঞ্চলের ৬৪৪টি বুথে চলছে ভোট গ্রহণ। কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা সত্যি করে সকাল থেকেই নানা জায়গায় শুরু হয়েছে অশান্তি। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসক দল বিজেপি-র দিকে।

ত্রিপুরা নিয়ে টুইট ফিরহাদের
ত্রিপুরার পুরভোটের দিন সকালে টুইট করলেন তৃণমূলের নেতা ফিরহাদ হাকিম। বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি লিখেছেন, ‘বিপ্লব দেব এবং তাঁর গুণ্ডাবাহিনী ত্রিপুরার মানুষকে অত্যআচার করার জন্য সব কিছু করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়ব এবং যত দিন ত্রিপুরা সুশাসন পাচ্ছে তত দিন কাজ করে যাব।’

ইতিমধ্যেই আমবাসায় আক্রান্ত হয়েছেন বিরোধী প্রার্থী। ১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিমি মজুমদারের অনুগত যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত বিশ্বাস, রামু সরকারের নেতৃত্বে একদল বাইক বাহিনী গুন্ডা ৩৮ নং পৌরনিগম ওয়ার্ড নির্বাচনী এলাকায় DYFI ডুকলি বিভাগ কমিটির সদস্য এবং CPIM বাধারঘাট অঞ্চল কমিটির সদস্য নব কুমার সাহার বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ।

৩৮ নং ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহলদারী থাকা সত্বেও এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে ৪৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় চৌরঙ্গী যাদব মজুমদার পাড়ায় যাদব মজুমদারের আত্মীয় দূর সম্পর্কে বিজেপি বিধায়িকা মিমি মজুমদারের আত্মীয় এডি নগর অঞ্চল কমিটির সদস্য অনুপম মজুমদার, দেবব্রত বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ।


এদিকে, আগরতলায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল পালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে বিজেপি-র বাইকবাহিনী এসে বলে, ”ভোটে লড়ে লাভ নেই”। বাড়ির সামনের দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় এই দৃশ্যও ধরা পড়েছে।

আবার, ভোটের দিন আগরতলার একটি বুথে সকালে চলছিল মক পোলিং। সে সময়ই পোলিং এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। বিজেপি-র আঘাতে তৃণমূলের এক পোলিং এজেন্টের মাথাও ফেটে গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, বিলোনিয়ায় সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। আবার আগরতলার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে বিজেপি-র বাইক বাহিনী এসে হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ত্রিপুরা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা বলেন, ”বিজেপি হিংসাকে সমর্থন করে না। কিছু মানুষ বিজেপি-র নামে কুৎসা রটাচ্ছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here