দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির দুই ভাই যোগ দিলেন বিজেপিতে।
শনিবার বিকেলে ইসলামপুর শহরের বাস টার্মিনাস এলাকায় বিজেপির জনসভায় উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মেনন, রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়। এই মঞ্চে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির দুই ভাই, গোলাম সারেবর ও গোলাম হায়দার।


বিজেপিতে যোগ দিয়ে গোলাম সারেবর বলেন, গোয়ালপোখরের উন্নয়ন সাধন ও তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করলেন। গোয়ালপোখর থানা, বিডিও অফিস, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে শুধুই টাকার লেনদেন ও কাটমানির খেলা চলছে। এই সবকিছু শেষ করাই তাঁদের লক্ষ্য।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, মন্ত্রীর ওই দুই ভাই আগে থেকেই গোলাম রব্বানির বিরোধিতা করছেন। তাঁরা বিজেপিকে আগে থেকেই ভোট দেন। দুজনেই দলের কোনও পদে নেই। ফলে ওই দুই ভাইয়ের বিজেপিতে যোগদানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না।”


কিন্তু রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এর একটা তাৎপর্য রয়েছে। কী তাৎপর্য? এই ক’মাস আগেও শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার পর্যবেক্ষক। যখন দাড়িভিট উত্তাল তখন তৃণমূলের কোনও নেতা হিসেবে শুভেন্দুই সেই জেলায় পৌঁছেছিলেন। বিপুল মার্জিনে পিছিয়ে থাকা কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল। দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু।

আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, শনিবার যখন উত্তর দিনাজপুরে যোগদান চলছে তখন মালদহ জেলার নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শরীর খারাপের কারণ দেখিয়ে সেই বৈঠকে ছিলেন না জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর।

এখানেও আরও একটি বিষয় মনে রাখা দরকার। কংগ্রেস থেকে প্রয়াত গণি খান চৌধুরীর ভাগ্নীকে তৃণমূলে এনেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়কই।সব মিলিয়ে মন্ত্রীর দুই ভাইয়ের বিজেপিতে যাওয়া বা অভিষেকের বৈঠকে মৌসমের না থাকা– সবটাই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here