দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবার সাতগাছিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সরাসরি নাম করে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”সাহস থাকলে ভাইপো না বলে নাম করে আক্রমণ করুন।” এমনকী তিনি জানান, ”ডায়মন্ড হারবার থেকে জিতেছি। তাই আগামী নির্বাচন আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে এই লড়াই শুরু করতে চাই। এখান থেকেই শুরু হোক একুশের লড়াই।”

এদিন তিনি কী বলেছেন দেখে নিন একনজরে- 

* নির্বাচনে লড়তে জানে তৃণমূল, লড়ে নেব আমরা। 

* বুথ ভিত্তিক জনসংযোগ বাড়াতে হবে।

* ২০১৯ সালে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। একটাও পূরণ হয়নি এখনও। এখানে মোদী এসে বলেছিল ‘ভাইপো’ নিয়ে। কিন্তু কেউই নাম নিয়ে বলতে পারে না।

*অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে কথা বলার বুকের পাটা প্রধানমন্ত্রীর নেই, কারুর নেই

* মুকুল রায় বলেছিল বিশ্ব বাংলার মাথা অভিষেক রায়। আমি শুনেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। হাইকোর্টে ল্যাজে গোবরে অবস্থা করে পরাজিত হয়েছে।

* বুকের পাটা থাকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে কথা বলুন। বাংলার ছেলে আমি। টানতে টানতে হাইকোর্টে আনতে না পারলে আমিও এক বাপের ব্যাটা নই। এ কথাটা স্মরণ করিয়ে দিলাম।

* লকডাউন-করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ দিলীপ ঘোষ কোথাও দেখা যায়নি তাঁদের। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমেছেন, আমফানে রাত জেগেছেন। 

* আমফানে প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকা দিয়েই চুপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৭ হাজার টাকা দিয়েছে। কোথা থেকে এল। মনে রাখবেন কালীঘাটের টালির ছাদের ঘরে থাকা হাওয়াই চপ্পল পরা মহিলা দিয়েছে।

শুধু বিজেপি নয়, রবিবার অভিষেকের আক্রমণের তির ছিল কংগ্রেস-সিপিএমের দিকেও। তিনি বলেন,  ‘‘কংগ্রেস, সিপিএম, সবার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ভাইপো। কিন্তু কেউ নাম নিতে পারে না। বুকের পাটা থাকলে নাম নিয়ে দেখাক। যিনি আমার নাম নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছেন, তাঁকে আমি আদালতের রাস্তা দেখিয়েছি। তাই বলছি, যদি সাহস থাকে, তাহলে আমার নাম নিয়ে বলুন।’’

এদিন নাম না করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। গত ৩১ অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে এক বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে কড়া ভাষায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি প্যারাসুটে নামিনি এবং লিফটেও উঠিনি।’’ রবিবার যেন তারই জবাব দিলেন অভিষেক। তিনি নিজেও প্যারাসুটে চেপে নীচে নামেননি এবং হেলিকপ্টারে চড়ে উপরে ওঠেননি বলে উল্লেখ করেন অভিষেক। তৃণমূলের কেউই প্যারাসুটে নামেননি বা লিফটে ওঠেননি। তাহলে তাঁদের বড় বড় পদপ্রাপ্তি হতে পারত।  অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল এক দিনে তৈরি হয়নি। মমতা নামক সেই সূর্যের সঙ্গে যে লড়তে যাবে সে ঝলসে যাবে।

অভিষেকের  এই কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। তিনি বলেছেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা তো তাতে কী যায় আসে। তোমরা গুণ্ডামি করেছ এতদিন। আমার গুণ্ডামিটা দেখো এখন। সময় আমার এসেছে। দরকার হলে গুণ্ডামি করব। পারলে ঠেকাও। দম কতটা আছে ডিসেম্বরে দেখিয়ে দেব। আর এফআইএর হবে কিনা সময়ে সব বলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here