দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার প্রধানমন্ত্রী আসছেন ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মন পেতে এখন কেন্দ্র ও রাজ্যের লড়াই শুরু হয়েছে আর এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও পারিবারিকভাবে বিব্রত বড় মা তারা এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা তৃণমূল সাংসদ আর ছোট ছেলে ঘটনাটি এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকে এই দুই পারিবারিক টানাপোড়েনে দ্বিধাবিভক্ত দলীয় সূত্রে খবর নাগরিকত্বের দাবি কে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সফরে নতুন কিছু বার্তা দিতে পারেন সেদিকেই লোকসভা ভোটে একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে জানা গেছে ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটো নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগর এ সভা করবেন তার সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতারা উপস্থিত থাকবেন এই নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে,বলে রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে। এ দিকে শাহ টুইট করেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আমার ২ দিনের সফরে মালদহ (২২ জানুয়ারি) ও ঝাড়গ্রামে (২৩ জানুয়ারি) আমি জনসভা করব। মমতাদিদির তোষণের রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি।’’ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে মোদী সভা করবেন৷ আর সোয়াইন ফ্লু থেকে ‘সেরে উঠে’ আজ, মঙ্গলবারই মালদহে সভা করতে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্য ও জেলার বিজেপি নেতৃত্ব দলে দলে ঠাকুরনগরে আসতে শুরু করেছেন৷ এর ফলে পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলেও ৷

বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের কথায়,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ,মাত্র তিন মাস আগে ১৫নভেম্বর মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর শততম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ঠাকুরনগরে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ঠাকুর বাড়িতে গিয়ে বড়মার সাথে দেখা করেন এবং তাঁকে বঙ্গবিভূষণে সম্মানিত করেন৷ সেদিনের অনুষ্ঠানে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ -গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা বলেছিলেন, পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এন আর সি নীতির প্রসঙ্গে বলেছিলেন- এন আর সি নিয়ে নিম্নমানের রাজনীতি হচ্ছে,তৃণমূল সরকার মতুয়া অন্দোলন কে সমর্থন করে৷ এক কথায় আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ,বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মুলত সারাভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের মানুষের মন জয় করার লক্ষ্যে এগিয়ে রেখেছেন তৃণমূল সরকারকে৷ তার আঁচ পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷ তাই তারা লোক দেখানো সভা করে দেশের প্রধান মন্ত্রীকে অস্ত্র করে মতুয়া ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে ছুটছে৷ কোন অবস্থাতেই মতুয়ারা বিজেপিকে গ্রহণ করবেন না এটা আমাদের বিশ্বাস৷

এদিকে ঠাকুরবাড়ি সূত্রের খবর,বড়মার কাছে তার ছেলে মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর সহ তার পরিবার এবং রাজ্য বিজেপি ও স্থানীয় বিজেপি নেতারা সকাল থেকেই দৌড়াচ্ছেন বড়মার সান্নিদ্ধ পেতে ৷এক মতুয়া ভক্তের কথায় এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে অসুস্থ বীণাপাণি দেবীও দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন.ধর্ম-আর রাজনীতিকে নিয়ে,কারন মতুয়ারা ঠাকুরবাড়িকে কেন্দ্র করে রাজনীতি মেনে নিতে পারছেন না৷

গত ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী ব্রিগেড সমাবেশে মোদী সরকারকে ফেলার ডাক দিয়েছেন ২৩ জন নেতা-নেত্রী৷ জাতীয় রাজনীতিতে তার প্রভাবও পড়েছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ,বিজেপি কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব বুঝেছেন,এই পরিস্থিতিতে এত অল্প সময়ের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীকে এনে ব্রিগেড সভা সম্ভব নয়,তাই রাজ্যে ছোট ছোট সভা করে বিজেপি মূল স্রোতে ফিরতে চাইছে৷

তাই ২৮ জানুয়ারি ঠাকুরনগর, ২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে প্রধান মন্ত্রীর সভা করে বঙ্গ বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here