ওরা মুরগিটা স্করপিও’র ছাদে বেঁধে নিল। ঠিক উইন্ডস্ক্রীণের উপরটায়। দেশী মুরগি। এই এত সকালে মুরগি পেয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি। তিন দিন জঙ্গলে থাকতে হবে। খাবার দাবার কি পাওয়া যায় না যায়!
কাল সারারাত গাড়ি চলেছে। সিমলিপাল থেকে ওরা তালচের হয়ে এই আনগুল শহরে এসেছে। কাল রাতের বুকিং ছিল রামতীর্থ ফরেস্ট রেস্ট হাউসে। সিমলিপালে। সন্ধ্যেবেলায় সেখানে পৌঁছে ভাল লাগেনি কারোর। আগের রাতে গুড়গুড়িয়া বাংলোতে ছিল নীতুরা। হেরিকেনের আলোয় বস্ রান্না করেছে। ট্যালটেলে মুরগির মাংসের ঝোল আর ভাত। ভাল লেগেছিল অন্ধকার জঙ্গল। কিন্তু রামতীর্থে কারোর ভাল লাগলো না।


-কত কিলোমিটার হবে টি করপাড়া এখান থেকে? গুন্ডা জিজ্ঞেস করলো।
-একটা চায়ের দোকান দেখে দাঁড়া। জেনে নিই ভাল করে। বস্ বলে।
যে সময়ের কথা বলছি তখন গুগল ম্যাপ হাতের মুঠোয় চলে আসেনি। মানুষ তখনও মানুষকেই ভরসা করতো। মানুষের কাছে কিছু জানতে চেয়ে রাস্তায় চোখ ফেলে চলতো।
একটা চায়ের দোকান দেখেই প্রসেন গাড়ি দাঁড় করালো। সন্ধ্যে লাগছে লাগছে। জঙ্গলটা জাস্ট পেরিয়ে এসেছে ওরা। হাইওয়ে এসেছে এখন কোনও একটা। চায়ের দোকানে কয়েকজন খদ্দের। কয়েকজন মানুষ। জেনে বুঝে নেওয়া যায় এরকম কয়েকটা দেশীয় অযন্ত্র। ওরা চা খেলো। রাস্তা বুঝে নিলো। কেওনঝড় তালচের হয়ে সারারাতের রাস্তা সকাল হ’লে আনগুল পৌঁছবে। ডাব্লু বি ছাব্বিশ নাম্বারের একটা বারগেন্ডি স্করপিও ওড়িশার রাস্তায় রাতের হাইওয়ে ধরলো। এক জঙ্গল থেকে আর এক জঙ্গলে যাবে বলে।


গাড়ী সূর্যের। তাতাইরা সাতজন তেল ভ’রে নিয়ে চলে এসেছে বোম্বে রোড ধরে উড়িষ্যার এদিকটায়। সঙ্গে ড্রাইভার প্রসেনকেও পাঠিয়ে দিয়েছে সূর্য। প্রথম রাতে ছিল ওরা বাংরিপোশির বাংলোতে। গাড়ির ছোট স্ক্রীণে মাঝরাত অব্দি হিন্দি সিনেমা চলেছে। সকাল সকাল মুখ না ধুয়েই নীতুরা বেরিয়ে পড়েছিল ঠাকুরানি হিলসের রাস্তায়। সামনে শঙ্করদা। মাঝের সিটে বস্, রণ আর নীতু, পেছনে বরফি, তাতাই আর গুন্ডা। সাত জোয়ান ষাঁড়ভর্তি স্করপিও চড়াই পেরিয়ে উঠে গেলে বাঁদিকে জঙ্গল শুরু হল। সিমলিপালেরই এক্সটেন্ডেড ফরেস্ট। বাফার জোন। যেতে যেতে একটা দোকান দেখে দাঁড়িয়ে গেল স্করপিও। সবারই খিদে পেয়েছে।


খাবার বলতে গরম চপ আর হাঁড়িয়া। সকাল সাতটায় এরকম অদ্ভুত কম্বিনেশন কখনও দেখেনি কেউ। তা হোক। খিদে আর তেষ্টা মিটলেই হল। বাঘেরা কেউ দাঁত মাজেনা ঘোষণা দিয়ে শঙ্করদাই চালু করলো। উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার এক জংলি হাইওয়ের ধারে আদিবাসি দোকানে সকাল সকাল ভাজা হতে লাগলো গরম চপ। আর খালি হতে থাকলো অ্যালুমিনিয়ামের সাদা হাঁড়ি। নিয়ম ভাঙার এক আলাদা মজা দিয়ে পেট ভরতে লাগলো সাত হিন্দুস্তানি। কেউ কেউ আবার রসি খেয়ে নিলো। রসি, হাঁড়িয়ারই কড়া সংস্করণ। একটু টাফ কিন্তু কিক্ মারে বেশ। খিদে তেষ্টা মিটিয়ে যখন আবার গাড়ি ছাড়লো, ততক্ষণে একটা ঝিমের চাদর বিছিয়ে গেছে গাড়ির ভিতর, ক্যাপ্টেন সিট থেকে লাস্ট রো পর্যন্ত। সবাই চুপ করে রয়েছে, শুধু গীটারহাতে একা অঞ্জন গান গেয়ে চলেছে গাড়ির ইন্টেরিয়ার জুড়ে। মিলটন একজনকে দিয়ে কটক থেকে টিকরপাড়ার টেন্টের বুকিং স্লিপ পাঠিয়েছিল ট্রেনে করে। ওরা আনগুল স্টেশন থেকে সেগুলো নিয়ে যখন রওনা দিল সাতকোশিয়া টাইগার রিজার্ভের পথে, তখনও সকালই আছে। একটা ধাবাতে সবাই নাস্তাও করে নিয়েছে ভরপুর। এন্ট্রি গেটে নাম লিখিয়ে জঙ্গলের এবড়োখেবড়ো রাস্তায় নেমে গেলো মোটা চাকার মাহিন্দ্রা গাড়ি। লবঙ্গী, ট্বুলকা, টিকরপাড়ার জঙ্গল বাঙালিকে চিনিয়ে দিয়ে গেছেন বুদ্ধদেব গুহ। শাল আর বিড়িপাতার জঙ্গলকে মহানদীর পাড় থেকে তুলে এনে প্রেসে প্রেসে ছাপতে দিয়েছেন লালাবাবু। সেই জঙ্গলের গভীরে ঢুকে যেতে যেতে সবাই দেখলো গাড়ির ছাদ থেকে উইন্ডস্ক্রীণের কাঁচ বেয়ে সাদা দাগ হয়ে নেমে আসছে ছাদে বাঁধা মুরগির পটি। বাঘের জঙ্গলে ঢুকে ভয়ে হিম হয়ে যায় উপরের মুরগী, ভিতরের মানুষ। কোনও গান বাজে না চলতিপথে, গাড়িতে। থাকার জায়গাটা অপূর্ব। মহানদী সাত ক্রোশ পাহাড়ি গর্জের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে বলে এই জঙ্গলের নাম সাতকোশিয়া। মহানদীর পাড়ে অনেকটা বড় চর জেগে উঠেছে। গোল্ডেন স্যান্ড বিচের মত সোনালী বালুকাবেলা। ওপারে নদী পেরিয়ে জঙ্গল। মহানদী ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি। এপারে চরের পরে রাস্তা পেরিয়ে উঠে গেছে সবুজ পাহাড়। এই সোনালী চরের এককোণায় কয়েকটা টেন্ট পাতা। অ্যাটাচড্ বাথের সুইস টেন্ট। সবাই হইহই করে গাড়ি থেকে নেমে যে যার টেন্টে ঢুকে গেলো। সবাইই রাতজাগা। টেন্টের ভেতরের ক্যাম্পখাটে শুয়ে শরীর ছেড়ে দিল যুবকেরা। কেউই জানলোনা সামনে নদীতেই অসংখ্য কুমীর ঘুরে বেড়ায় জলে। মহানদী সেসব পেরিয়ে সমতলে পড়ে ধীরেসুস্হে এগিয়ে যায় সমুদ্রের দিকে। দুপুরবেলায় ছাদের মুরগি পাড়া হল, ঝোল হল। কেউ মদ খেলো। কেউ গান করতে বসলো বালিতে পা ছড়িয়ে। তাতাই নিজের ট্রাইপডে ক্যামেরা লাগিয়ে সারা দুনিয়ার ছবি তুলতে লাগলো। তার একটু পরেই সূর্য ডুবে গেলো পাহাড়ের পেছনে।

-রাতে কি করবি? গুন্ডা জানতে চায়। নাম গুন্ডা হলেও সবচেয়ে শান্ত সে।
-ক্যাম্প ফায়ার করা যায়? সবচেয়ে সিনিয়ার কিন্তু সর্বাধিক হুল্লোড়প্রিয় শঙ্করদা জিজ্ঞেস করে।
-জঙ্গলে ঢোকা যায়না! গভীর জঙ্গলে। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় নীতু প্রস্তাব রাখে।
সবাই হইহই করে ওঠে। রাতের জঙ্গল। রোমাঞ্চ চায় জীবন আরও। খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। জানা যায় খানিক দূরে টিকরপাড়া ফরেস্ট বাংলোর আগে ডানদিকে ঢুকে গেছে কোর এরিয়ার রাস্তা। সেপথে একটা ওয়াটারহোল আছে। রাতের অন্ধকারে হায়েনা এসে একা জল খেয়ে চলে যায়। চিতাবাঘও আসে।
টেন্টের ম্যানেজার চৌহান বললো, এখন আর নাইট সাফারির পারমিশন দেয় না বনদপ্তর। রাস্তাও খুব খারাপ, সরু। তবে আপনাদের খুব ইচ্ছে থাকলে চলে যান। আমি একটা ছেলেকে দিয়ে দিচ্ছি আপনাদের সঙ্গে। ও চিনিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু রিস্ক আপনাদের। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট ধরলে আমার কথা বলা যাবেনা। তবে অসুবিধা হবে না। ডিএফও খুব নরমসরম মানুষ। বাঙালী গাড়ি যখন ওড়িয়া জঙ্গলের গভীরে যাবার জন্য স্টার্ট দিলো, সন্ধ্যে ঠিক সাতটা। টিকরপাড়া ফরেস্ট বাংলোর দিকে যেতে গিয়ে হঠাৎ করে ডানদিকে ঢুকে গেলো সূর্যের স্করপিও। সূর্যের কোনও পারমিশন কেউ নিল না, গাড়ী তো আর নাও বের হতে পারে জঙ্গল থেকে। রাস্তা তো হারিয়েই যেতে পারে রাতের নিষিদ্ধ জঙ্গলে। আস্তে আস্তে রাস্তা যত সরু হয়ে এলো, গাড়ির গতিও সমানুপাতিক কমে যেতে লাগলো। একসময় দু’পাশের গাছপালা গাড়িটাকে গিলতে এগিয়ে আসলো। সবাই যে যার জানলার কাঁচ উঠিয়ে দিলো। কাঁচ খোলা থাকলে যেন গাছপালা গাড়ির মধ্যে ঢুকে কলসপত্রীর মত আচরণ করবে। কাঁচ বন্ধ করেও কেউ স্বস্তি পাচ্ছে না। দমবন্ধ লাগছে। ড্রাইভার প্রসেন অসম্ভব ভয় পাচ্ছে। এই অন্ধকার জঙ্গল, হেডলাইটের আলোয় আর কতটুকু দেখা যায়! বাকিটাকেই ভয় প্রসেনের। শুনেছে বাঘ, চিতা সবই আছে এ জঙ্গলে। চিতা তো আবার গাছে উঠতে পারে। কেঁপে গিয়ে গাড়ির সেন্ট্রাল লকটা একবার চেক করে নিলো। যেন কোনও দুর্ধর্ষ ওয়াইল্ডলাইফ এসে বাইরে থেকে দরজা টেনে খুলে মানুষদের খাবে। একসময়ে ওয়াচ টাওয়ার এসে গেল। কতক্ষণ গাড়ি ছেড়েছে কেউ জানেনা। সবাই মনেপ্রাণে চাইছিলো গাড়ি থেমে যাক। একই অন্ধকার, একই সরু আঁকাবাঁকা রাস্তা বেশীক্ষণ ভাল লাগছিল না। ওয়াচ্ টাওয়ার আসাতে সবাই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। যে ছেলেটাকে চৌহান সঙ্গে পাঠিয়েছে, সে ওড়িয়া ছাড়া আর কোনও ভাষা একবিন্দুও জানে না। তবুও তো লোকাল। যদি বাঘ ভাল্লুকের ভাষা অন্তত বোঝে!

-কি করবি? গাড়ি থেকে অন্ধকার জঙ্গলে নেমেই জিজ্ঞেস করে বস।
-টাওয়ারে যাব। নীতু বলে।
-অন্ধকারে তো টাওয়ারটা ঠিকমত দেখাও যাচ্ছে না। রণ জঙ্গলে প্রথম কথা বলল।
-মোবাইলের টর্চটা জ্বালা। বলে নীতু নিজের মোবাইলটা জ্বালিয়ে টাওয়ারের সিঁড়িতে পা রাখল। কাঠের সিঁড়ি। কচকচ করে উঠল। তবুও নীতু ভয় পেল না একটুও। সবাই ওর পেছন পেছন উঠতে লাগল।
রাতের সাতকোশিয়ার জঙ্গলে এক নিষিদ্ধ অভিযানে নেমে পড়েছে সাত আনজান যুবক। কেউ কেউ মদ খেয়ে এসেছে। কেউ কেউ খায়নি। কিন্তু নেশা সবার হয়েছে। এই জলাশয়ের ধারে কাঠের পুরনো ওয়াচ টাওয়ারটাকে সবারই যেন হ্যালুসিনেশন বলে মনে হচ্ছে। আসলেই জায়গাটা বড্ড ভুতুড়ে। ভয় ধরানো। কিন্তু গাড়ির মধ্যে এমন অসহ্য হয়ে উঠেছিল যে, নামার সময় কেউ খেয়াল করেনি। এখন যত সময় যাচ্ছে, সতর্কভাবে একটা একটা করে সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে কেউ ভাবছে, কেন আসলো? কেউ ভাবছে, কখন ফিরবো? কেউ কেউ দেখছে শেষ হচ্ছে না সিঁড়ি।
যখন ওরা সবাই একে একে ওয়াচ টাওয়ারের উপরে গিয়ে পৌঁছল, তখনও কোনও চাঁদ ওঠেনি জঙ্গলে। জেনারেটরও জ্বালায় নি ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট। ফলে উপর থেকেও অন্ধকার আগের মতই দিশেহারা থেকে গেল। ওরা টাওয়ারের উপরে বসে থাকলো। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে সামনে অন্ধকার জলের ওপারে জ্বলন্ত চোখ খুঁজতে থাকলো। কেউ গান ধরলো। বস চাপা গলায় খিস্তি মারল। আবার সব আগের মত চুপ হয়ে গেল। শান্ত। শুধু ঝিঁঝিঁর ডাক। আর হাওয়ার শব্দ। সবাই কান খাঁড়া করে থাকল যদি কোনও চলাচলের আওয়াজ পাওয়া যায়!
-ওই ছেলেটা কোথায় গেল রে? শঙ্করদা জিজ্ঞেস করলো।
-নীচে আছে বোধহয়। তাতাই একমনে জলাশয়ের দিকে চোখ রেখে বলে।
-গাড়িতে প্রসেন আছে না! জিজ্ঞেস কর তো। গুন্ডা এতক্ষণ কিছু বলেনি।
-প্রসেন, ছেলেটা কোথায় গো? চাপা গলায় জিজ্ঞেস করে বস্।
-তোমাদের সঙ্গেই তো গেল। প্রসেন চেঁচিয়েই উত্তর দেয়।
-কই, এখানে তো নেই! দু’তিনজন একসাথে বলে ওঠে।
অন্ধকারে ওরা চোখ চাওয়াচায়ি করে। তাতাই তখনও জলের ওপারে তাকিয়ে। একজোড়া চোখ। জ্বলছে নিবছে যেন। এগিয়ে আসছে এদিকে। যেন জলের উপর দিয়েই আসছে। তাতাইয়ের মুখ দিয়ে একটা অদ্ভুত শব্দ বের হল। ততক্ষণে সবাই উঠে দাঁড়িয়েছে। সবাই চোখদুটো দেখেছে। ওয়াচ টাওয়ারের দিকে এগিয়ে আসতে দেখেছে। দুদ্দাড় করে নামতে লাগল নাইট সাফারি করতে আসা সাতজন পুরুষ। ভুলে গেল আরও একজন এসেছিল তাদের সাথে। কেউ মনে রাখল না তাদের গাইডের কথা।
প্রসেন গাড়ি স্টার্ট দিয়েই রেখেছিল। ওরা টপাটপ গাড়ির মধ্যে গিয়ে বসে গেল। কয়েকজন খেয়াল করার চেষ্টা করছিল ভাঁটার মত চোখদুটো এদিকে আসছে কিনা। ততক্ষণে গাড়ি চলতে শুরু করেছে। দ্রুত এই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যেতে হবে ওদের। বনদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা না মানার ফল হাতেনাতে পাচ্ছে ওরা। এখন ফিরতে পারলে হয়!
বেশ খানিকক্ষণ চলার পরে ওরা একটু আশ্বস্ত হল। গাইড তো লোকাল। কোনও না কোনওভাবে ম্যানেজ করে চলে আসবে। আপাতত স্বস্তি। ভাঙা ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবাই নির্বিঘ্নে নেমে এসেছে। অন্ধকার জলাশয়ের খোলামেলা পাড় থেকে ধাতব চৌহদ্দির মধ্যে এসে বসেছে। এই জঙ্গল থেকে আর একটু পরেই বেরিয়ে যাবে ওরা। সবাই টানটান হয়ে বসে রয়েছে গাড়ির ভিতর।
গাড়ি চলছে। জঙ্গল যেন আরও ঘন হয়ে উঠেছে। আসার সময়ের চেয়েও বেশী। হোক গে। বাড়ি তো ফিরছে ওরা। ঘোর বিপদের মুখ থেকে। শুধু বাড়ি ফেরার আনন্দে কেউ খেয়াল করলো না, উত্তেজনায় প্রসেন গাড়ি ঘোরাতে ভুলে গেছে। ওয়াচ টাওয়ার ফেলে পালানোর ব্যস্ততায় গাড়ির মুখ না ঘুরিয়েই আরও গভীর থেকে গভীরতর জঙ্গলের রাস্তায় পা বাড়িয়েছে বাংলার এক স্করপিও। ভেতরের মানুষেরা বাড়ি ফেরার মন নিয়ে অজান্তে ঢুকে যাচ্ছে অজানা এক রাতের জঙ্গলে।

কবিতা আশ্রম
বর্ষা’২০২০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here