দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছল মুর্শিদাবাদে। রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হুসেনকে ঘিরে ধরে বোমা মারল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তির তৃণমূলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দিকে। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে।

রাজ্যের মন্ত্রীকে খুনের চেষ্টা। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের মধ্যে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় মন্ত্রী ছাড়াও জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। 

বোমার আঘাতে গুরুতর জখম রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন জাকির। তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরার জন্য নিমতিতা ষ্টেশন যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নিমতিতা ষ্টেশনে কাছে নিজের গাড়ি থেকে নামামাত্রই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জাকির হোসেন-সহ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। সকলকে তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের মন্ত্রীর উপর পুর্বপরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এই ঘটনার এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রাজ্যের মন্ত্রীর উপর কারা হামলা চালাল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি আবু তাহের বলেছেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটাল বুঝতে পারছি না। পুলিশ সুপারকে দেখতে বলেছি। বড় ব্যবসায়ী জাকির হুসেন। কে তার শত্রু, পুলিশ দেখছে।’

দলের একাংশের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ছিল বলেও দাবি অনুগামীদের। আক্রান্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগও দায়ের করেন জাকির হোসেন। রাতেই জঙ্গীপুর হাসপাতাল থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে আহত জাকির হুসেনকে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘তৃণমূলের যে ঘরানা, তার সঙ্গে জাকির হুসেন চলতে পারেননি। তাই যারা লুঠ করে, চুরি করে, গরু পাচার করে, তাদের সঙ্গে জাকিরের দ্বন্দ্ব ছিল। জাকির চাইত না, চাষের জমি নষ্ট করে বাংলাদেশে হাজার হাজার গরু পাচার হোক। পুলিশও জাকির হোসেনকে সাহায্য করত না। সে সততার ভাবমূর্তি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করত। এটাই তার অপরাধ। রাজ্যে একজন মন্ত্রীও নিরাপদ নন।’

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। রাজ্যের একজন মন্ত্রীও নিরাপদ নন। বিরোধী দলের উপরে হামলা তো হচ্ছেই, এবার সরকারি দলের মন্ত্রীর উপরেও হামলা হচ্ছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এরকম হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here