• বুধবার সকালেই ধর্মঘট নিয়ে অশান্তি ছড়িয়েছিল মালদহের কালিয়াচক ব্লকের সুজাপুরে। পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই একটি ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে দেখা যাচ্ছে উর্দি পরে কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা হাতে থাকা ফাইভার স্টিক দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙছেন। ঢিল ছুড়তেও দেখা যায়। আর তা সামনে আসতেই পুলিশের বিরূদ্ধে খড়্গহস্তে নেমেছে বাম-কংগ্রেস।
    দেশের সময় ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “ধর্মঘটকারীদের গায়ে কালি ছেটাতেই পুলিশ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে।” তাঁর কথায়, “উর্দি পরে গুন্ডামি করে তা আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ ভুলে গেছে এটা ২০২০ সাল। সবার এখন হাতে হাতে ক্যামেরা। সত্যকে চাপা দেওয়া মুশকিল।”
পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও চড়িয়ে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “উত্তরপ্রদেশে যে ভাবে যোগীর পুলিশ গাড়িতে আগুন দিয়েছিল, এখানেও দিদির পুলিশ একই কাজ করেছে।”

গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে মালদহ জেলা পুলিশ। দুপুরের পর থেকে একাধিকবার জেলার পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বেজে গেলেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।

বুধবার সকাল থেকে সুজাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বনধ সমর্থনকারীরা। দীর্ঘ অবরোধে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে বারবার অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বললেও তাতে কান দেননি আন্দোলনকারীরা। বেলা গড়ালে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা শুরু হয়। বেধে যায় ধস্তাধস্তি।

পুলিশের দাবি, এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। শূন্যে গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। তারপরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এসপির নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী যায় ওই এলাকায়।

কিন্তু এই ফুটেজ সামনে আসার পর বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here