দেবাশীষ মন্ডল,দেশের সময়ঃ কাজ করো সরকারী আর চাষ করো তরকারী, চলতি ভাষায় প্রবাদ বাক্যটি কতটা সত্য তা প্রমান পাওয়া যাবে উত্তর২৪পরগনার গাইঘাটা ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রামে গেলে। গ্রামের প্রগতিশীল কৃষক গোবিন্দ বিশ্বাস এ বছর এক বিঘা জমিতে জলদি জাতের ফুলকপি চাষ করেছেন। পুজো মরসুমে সবজী চাষে কেমন লাভ তা দেখতে হাজির হলাম কৃষকের জমিতে। কাজের ফাঁকে কৃষক জানালেন তার বিজ্ঞান সন্মত সবজি চাষের পদ্ধিতি। কৃষক তার জমি থেকে ফুল কপি তুলে বিক্রি শুরু করেছেন। বাজারে প্রচুর চাহিদা এবং ভালো দাম থাকায় প্রচুর টাকা লাভ করছেন। কৃষক গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন জলদি জাতের ফুলকপি চাষ করতে হলে উচু জমি নির্বাচন করতে হবে কারন মূল জমিতে যখন চারা রোপন করা হয়। তখন বর্ষাকাল থাকে, জল নিকাশী ব্যবস্থা ভালো রাখতে হয়। নজর রাখতে হবে গাছের গোড়ায় কোনো রকম ভাবে জল না জমে, বীজতলা থেকে চারা মূল জমিতে রোপনের ৬০ দিনের মধ্যে ফসল বিক্রি হয়ে যায়। মূল জমিত়ে চাষের সময় জৈব সার দিতে হবে বেশী পরিমানে, তবে রোগ পোকা আক্রমণ একটু বেশী হয় এই সময়। বি়শেষ করে গোড়া পচা রোগ। কৃষক গোবিন্দ বিশ্বাস আরো বলেন এক বিঘা জমিতে চার হাজার চারা লাগানো যায়। সব মিলিয়ে পাঁচশো নষ্ট হয়ে গেলেও সাড়ে তিন হাজার ফুলকপি বিক্রি করা যায়। বর্তমানে ৪০ টীকা কেজি। প্রায় ২০ টাকা প্রতি পিচ। গড় দাম ১০ টাকা পিচ ধরলে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়। বিঘা প্রতি খরচ হয় মাত্র ১৫ হাজার টাকা। শীতকালে ফুলকপি চাষে খরচ অনেক কম, ফলন বেশী হয়, বাজার দর কম থাকে। জলদি জাতের ফুলকপি চাষে লাভ অনেক বেশী ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here