দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষ
সরোজিনী নাইডুর জন্ম শতবর্ষে তাঁকেই ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম দফার পথ উৎসর্গ করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর সেক্টর–৫ থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রথম দফার রুটের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী।

ছবি তুলেছেন – কুন্তল চক্রবর্তী,

রেলমন্ত্রী জানালেন, এবছরের দুর্গাপুজোর আগেই ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম ভূগর্ভ স্টেশন ফুলবাগানের উদ্বোধন হয়ে যাবে। এবছর দুর্গাপুজোয় এই রুট কলকাতাবাসী ব্যবহার করতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘‌রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতা পেলে হাওড়া পর্যন্ত কাজও সম্পন্ন করে ফেলব আমরা।’‌

এখনও পর্যন্ত চারটি লাইনে সমস্যা রয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর নতুন মেট্রোয় সফরও করেন পীযূষ গোয়েল। শুক্রবার থেকে সর্বসাধারণের জন্য চালু হবে পরিষেবা।

প্রথম দফায় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সেক্টর–৫ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম, এই ছয়টি স্টেশনে মোট ৫.‌৮ কিলোমিটার পথ চলবে ট্রেন চলবে। প্রাথমিকভাবে ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো হলেও পরে যাত্রী সংখ্যা বাড়লে ট্রেনের সময়সূচির পরিবর্তন করা হবে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।


তবে মেট্রোর এই নতুন রুটের সূচনা মোটেও বিতর্কহীন রইল না। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় বয়কট করল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে না ডাকা নিয়ে সারাদিন রাজ্য রাজনীতি ছিল সরগরম। মেট্রোর আমন্ত্রণ পত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও পরে নবান্নে গিয়ে তাঁকে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়।

তৃণমূলের দাবি, অত্যন্ত অসৌজন্যের নজির গড়ল রেল। যদিও বিজেপি মনে করছে এটাই হওয়ার ছিল। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের টাকায় তৈরি অনেক প্রকল্পের উদ্বোধনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা একা করে দেন। এবার রেল যেটা করেছে সেটা মমতার প্রাপ্য ছিল।”

আগামী দিনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরটি সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত যাবে। তৈরি হচ্ছে ১০.৮ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পথ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেশে এই প্রথম যেখানে কলকাতা এবং হাওড়া এই দুই জেলাকে যোগ করতে হুগলী নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ করে দেওয়া হবে মেট্রো পরিষেবা।


নতুন ছয় প্ল্যাটফর্মে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ স্ক্রিন ডোর, প্রতি কামরায় ডিসপ্লে বোর্ড ও চারটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে। বয়স্ক এবং অশক্ত যাত্রীদের জন্য প্রতি স্টেশনে একাধিক লিফট এবং এসক্যালেটর রয়েছে।

ছবিগুলি তুলেছেন – কুন্তল চক্রবর্তী৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here