দেশের সময় , বনগাঁ: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের দেওয়া টাকা উন্নয়নের খাতে খরচ না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চাওয়া হল বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ তার নিজস্ব উন্নয়ন খাত থেকে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানতে পেরেই , প্রতিবাদে শুক্রবার কলেজে বিক্ষোভ দেখিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের দাবি, টাকা ফেরত দেওয়ার আগে এব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে সমস্ত হিসেব প্রকাশ্যে আনতে হবে।

কলেজসূত্রে জানাগিয়েছে,, ২০০৮ সালে বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে ছাত্রী হস্টেল নির্মানের জন্য ৯২ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন (‌‌‌ইউজিসি)‌। কলেজের হিসেব অনুযায়ী, এরমধ্যে ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪৪ টাকা খরচের হিসেব ইউজিসি কে দেওয়া হয়। কিন্তু ইউজিসি সেই হিসেবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় পরবর্তী ধাপের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ২০১৮ সালে চিঠি দিয়ে ইউজিসি তাদের দেওয়া টাকা বনগাঁ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত চায়।

এই অবস্থায় সমস্যার সম্মুখীন হয় বনগাঁ কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা বহুবার বিভিন্নভাবে ইউজিসিকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ইউজিসি পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ওই টাকা ফেরত না দিলে কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হবে। এরপর কলেজ পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় যে, কলেজের উন্নয়ন খাত থেকে ইউজিসিকে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদিন প্রতিবাদে নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

বনগাঁ শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রমিত ঘোষ এবং কলেজ ইউনিটের সভাপতি রাজেশ দে–র অভিযোগকরে বলেন, ‘ছাত্রী হস্টেল তৈরির নামে সেই সময় লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় হয়েছে। যারজন্য ইউজিসিকে সঠিক কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় ইউজিসি পরবর্তী ধাপের টাকা আর দেয় নি। আমাদের দাবি, ওই প্রকল্পের টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে গোটা হিসেব ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রকাশ করতে হবে।’‌

এ বিষয়ে বনগাঁ কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ এই সমস্ত অনিয়মের অভিযোগ এক প্রকার উড়িয়ে দিয়ে বলেন , সেই সময় ছাত্রী হস্টেলের জন্য ২৪ টি ঘর তৈরি করা হলেও সেই ঘর ব্যবহারের জন্য কোনও ছাত্রী পাওয়া যায় নি। ফলে ওই প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতিতে ইউজিসি অসন্তোষ প্রকাশ করে চিঠি দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে। কলেজের স্বার্থে এরপর কলেজ পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় যে, কলেজ উন্নয়নের খাত থেকে ওই টাকা ফেরত দিয়ে নির্মিয়মান ঘরগুলি কলেজের পড়াশোনার জন্য কাজে লাগানো হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here