দেশের সময়, বনগাঁ পুরসভার ট্রাক পার্কিং থেকে রাজ্য সরকার নিজে রাজস্ব আদায় করবে। সেই অর্থ এবার সরাসরি রাজ্য সরকারের ট্রেজারিতে জমা পরবে। এই ব্যবস্থা কিভাবে কার্যকরী করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই  নির্দেশমতো শুক্রবার বনগাঁর মিলনপল্লীতে পুরসভার পার্কিং এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা৷ তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার, মহকুমা শাসক, পুর প্রশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানী বানিজ্যের পন্য বোঝাই ট্রাক যাওয়ার আগে বনগাঁ পুরসভার পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করে। বনগাঁর মিলনপল্লীর সেই পার্কিং এ ঢোকার জন্য বনগাঁ পুরসভাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয় ট্রাক মালিকদের। বছর শেষে সেই টাকার পরিমান যথেষ্ট। সেই টাকা পুরসভা নিজের মতো করে ব্যবহার করে। এই পার্কিং থেকে সংগৃহীত অর্থ পুরসভার উন্নয়ন তহবিলের ক্ষেত্রে অন্যতম ভরসা বলছে পুরসভাসূত্র ৷

এদিকে, মাস খানেক আগে মধ্যমগ্রামে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনগাঁ পুরসভার এই ট্রাক পার্কিং থেকে সংগৃহীত অর্থের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনেন। বনমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, এই পার্কিং থেকে রাজ্য সরকার বছরে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব বাবদ পেতে পারে। বিষয়টি জানার পর তিনি মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেন যে, এখন থেকে এই টাকা সরাসরি রাজ্য সরকারের ট্রেজারিতে জমা পরার ব্যবস্থা করতে হবে। কিভাবে সেটি বাস্তবায়িত হবে, তা দেখার জন্য মুখ্যসচিবকে একটি কমিটি গড়ার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ অনুযায়ী এদিন বনগাঁয় আসেন জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা। এদিন  তিনি বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার, মহকুমা শাসক, পুর প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি মিলনপল্লী পার্কিং এলাকা পরিদর্শন করেন।

এব্যাপার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তাজানান, এই পার্কিং এ কিভাবে কাজ হচ্ছে, তা দেখে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এখানে এসেছি। পুর প্রশাসক‌ গোপাল শেঠ বলেন, ‘রাজ্য সরকার রাজস্ব আদায় করলে পুরসভার কোনও সমস্যা নেই। রাজ্য সরকারের রাজস্ব আর পুরসভার পার্কিং চার্জ– দুটি বিষয় আলাদা।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here