দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকাল থেকেই মেঘের ঘনঘটা। দুই এক পশলা বৃষ্টিও শুরু হয়েছে কোথাও কোথাও। মেঘলা সকালে কমেছে তাপমাত্রার পারদও। যা থেকে সামান্য স্বস্তি ফিরেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। তবে বৃষ্টির কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে রেহাই মিললেও, ঘোর দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। 

পুজোর বাকি আর কয়েকদিন। সপ্তাহান্তে তাই মার্কেটিং সারতে চায় সকলেই। ব্যবসায়ীরাও নিজেদের পসার সাজিয়ে বসেন। বিকেল হতেই ভিড় বাড়ে বিভিন্ন মার্কেটে। কিন্তু এই বৃষ্টির ভ্রুকুটি চিন্তা বাড়াচ্ছে মানুষের মনে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যা পশ্চিম মধ্য এবং উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ভরা কোটাল। এই দুইয়ের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়বে পরিমাণ। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে না। জারি থাকবে ভারী বৃষ্টিপাত। 

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাঁকুড়া, বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনাতেও ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার দুপুরের পর থেকে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। ফলে শহরে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র ফুঁসছে। সুন্দরবন উপকূলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

রবিবার সকাল থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে মৎস্যজীবীদের আগামী দু’তিনদিন সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দিঘা মন্দারমনি ও সাগর সৈকতে পর্যটকদের সমুদ্রে স্নানে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কলকাতায় সকাল থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। হাওয়া বইছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বেলা বাড়তেই বৃষ্টি শুরু হবে শহরে। সন্ধ্যায় সেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here