দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা আকাশ। নতুন বছরের শুরুতে ঝোড়ো ইনিংস খেললেও জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এসে শীতের ব্যাটে আর রান নেই। রাজ্য থেকে কার্যত উধাও শীত। তার উপর ঘূর্ণাবর্তের চোখরাঙানি। ফলত কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। মঙ্গলবার থেকেই একাধিক অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সকাল থেকে ঘন কুয়াশার দাপটও কমবে। যার জেরে দৃশ্যমানতা বাড়বে। বৃহস্পতিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়। আগামী সাতদিন আবহাওয়া একরকম থাকবে। শুক্রবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র। 

অন্যদিকে শৈত্যপ্রবাহ থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলল দিল্লিবাসীর। বুধবার পর্যন্ত হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থাকলেও, বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। আজ থেকে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। কনকনে ঠান্ডার আমেজ যদিও বজায় থাকবে। 

আগামী এক সপ্তাহ দিল্লি ছাড়াও, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়েও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। 

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পাঁচ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিংম্পঙের পার্বত্য এলাকা এবং দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলি যেমন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও হালকা বৃষ্টি হবে। ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে পারে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও। অর্থাৎ শীতের দুপুরে মিঠে রোদ গায়ে মাখা তো দুর অস্ত বরং অফিস ফেরতা যাত্রীরা ভিজতে পারেন অকাল বৃষ্টিতে।

উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিংম্পঙের পার্বত্য এলাকা এবং দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলি যেমন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও হালকা বৃষ্টি হবে। ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে পারে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও। অর্থাৎ শীতের দুপুরে মিঠে রোদ গায়ে মাখা তো দুর অস্ত বরং অফিস ফেরতা যাত্রীরা ভিজতে পারেন অকাল বৃষ্টিতে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে তাপমাত্রা সামান্য কম থাকবে।

কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই তিন জেলায় দিনের তাপমাত্রা কম থাকায় কার্যত শীতল দিনের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কলকাতায় সকালের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হবে। তবে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে না বললেই চলে। মেঘলা আকাশের জন্য শীতের আমেজ বজায় থাকবে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৫২ থেকে ৮৩ শতাংশ ।

বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় এবং বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর জেরে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। অন্যদিকে উত্তর পশ্চিমে বাতাসের প্রভাবও থাকছে। ফলে পশ্চিমের দিকের জেলা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকলেও উপকূলের জেলাগুলিতে জলীয় বাষ্পের কারণে কুয়াশা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here