দেশের সময় , কলকাতা: ২২ কোম্পানি থেকে একধাক্কায় বাড়িয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রথমে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল কমিশন।

আদালতের নির্দেশর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বাহিনী চেয়ে পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পড় হুঁশ ফিরল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রকে চিঠি লিখে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে বাহিনী চেয়ছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বুধবার আদালতের নির্দেশে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালের তুলনায় বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কিছু আগেই নির্বাচন কমিশনের তরফে চেয়ে পাঠানো হল বাহিনী।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে বাহিনী চেয়ছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বুধবার আদালতের নির্দেশে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালের তুলনায় বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কিছু আগেই নির্বাচন কমিশনের তরফে চেয়ে পাঠানো হল বাহিনী।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। ২০১৩ সালে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। আদালতের নির্দেশ ছিল, এবার যেন ২০১৩-র থেকে বাহিনী কম না হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইকোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্ট, আবার ফিরে এসে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরপর ধাক্কা খাওয়ার পর এবার কার্যত রণে ভঙ্গ দিচ্ছে কমিশন। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বাড়তি সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়ে চিঠি পাঠাল তারা।

উল্লেখ্য, গতকাল হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে পরিমাণ সেন্ট্রাল ফোর্স ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার তার থেকে বেশি সেন্ট্রাল ফোর্স নির্বাচনের কাজে মোতায়েন করতে হবে। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, সেই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। এবার সেই মোতাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠাল কমিশন।

গোটা রাজ্যের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী চাওয়ায় বুধবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর নির্দেশে বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে কমিশন এমন ভাবে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত করছে, যাতে কাজের কাজ কিছু না হয়। এ কথা জানিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে যেমন ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, এবার কমপক্ষে সেই পরিমাণ সেন্ট্রাল ফোর্স নামাতে হবে।

প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর পর্যবেক্ষণে আরও ভর্ৎসনা করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আপনি চাপ নিতে না পারলে ছেড়ে দিন। তার পর রাতে আবার জানা যায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহা যোগ দেওয়ার পর তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরে বৃহস্পতিবার ফের কলকাতা হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করে।


এদিন পঞ্চায়েতের একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ জানাতে গিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট কি হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার পদে কি তিনি (রাজীব সিনহা) এখনও বহাল আছেন? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!”

এসবের পরেই আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে জানা গেল, শেষমেশ হার মেনেছে কমিশন। হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বাড়তি সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।

রাজ্যে প্রায় ৬১ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। এবার এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করেছেন কমিশন। এক দফার ভোটে গোটা রাজ্যে সন্ত্রাস ও হিংসা রুখে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আদৌ পর্যাপ্ত কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীদের অনেকে। অনেকের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও রাজ্য পুলিশের নির্দেশেই তাঁদের চলতে হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কী ভাবে সম্ভব সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম দায়িত্ব পালন করবেন উনি। সেই কারণে রাজ্য মন্ত্রিসভার সুপারিশ অনুযায়ী ওঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু চারিদকে কী চলছে, তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। সন্ত্রাস ও হিংসাকে বাংলার মাটি থেকে সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট করতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here