কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই লাইন ধরে দ্রুতগতিতে আসে এটাহ-টুন্ডলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যাত্রী ভর্তি ওই ট্রেনের চালক দূর থেকে লাইনের উপরে লাল শাড়ি ঝুলতে দেখেই গতি কমান। কাছাকাছি আসতেই বুঝতে পারেন, কোনও বিপদ সঙ্কেত দেওয়ার জন্যই ওই কাপড় ঝোলানো হয়েছে!

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রেললাইনের দুপাশে পোঁতা গাছের ডাল, মাঝে ঝোলানো লাল শাড়ি। ওই শাড়িই প্রাণ বাঁচাল শতাধিক যাত্রীর। ভাবছেন কীভাবে? রেললাইনের মাঝে ঝুলন্ত শাড়ি দেখেই বিপদ আন্দাজ করেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন তিনি। নেমে দেখতে পান যে লাইনে বড় ফাটল রয়েছে। স্থানীয় এক মহিলার উপস্থিত বুদ্ধিতেই বড়সড় রেল দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হল উত্তর প্রদেশে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই মহিলার কাণ্ড। সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁকে। রেলওয়ের তরফেও ওই মহিলাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ওমবতীর বাসিন্দা ওই মহিলা প্রতিদিনের মতোই ক্ষেতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। রেললাইন পার করার সময়ই হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে লাইনের ফাটল। এরপরই তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন, কিন্তু আশেপাশে কেউ না থাকায়, কেউই সেই ডাক শুনতে পাননি। প্রতিদিন ওই সময়েই এটাহ-টুন্ডলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করে, এ কথা জানতেন ওই মহিলা। হাতে মাত্র পাঁচ মিনিট, তারপরই এসে পড়বে ট্রেন। সাহায্যের জন্য কাউকে না পেয়ে ওই মহিলা নিজের শাড়ি খুলেই তাই লাইনে ঝুলিয়ে দেন গাছের ডালের সাহায্যে।

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক সচিন কৌশিক জানান, ওই মহিলা ভয় বা আতঙ্কে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাননি। বরং উপস্থিত বুদ্ধির জেরেই তিনি নিজের পরনের শাড়ি খুলে লাইনের দু’পাশে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেন এবং লোকো পাইলটকে সতর্ক করেন।

কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই লাইন ধরে দ্রুতগতিতে আসে এটাহ-টুন্ডলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যাত্রী ভর্তি ওই ট্রেনের চালক দূর থেকে লাইনের উপরে লাল শাড়ি ঝুলতে দেখেই গতি কমান। কাছাকাছি আসতেই বুঝতে পারেন, কোনও বিপদ সঙ্কেত দেওয়ার জন্যই ওই কাপড় ঝোলানোহয়েছে। এরপরই তিনি ট্রেন থামিয়ে দেন।

রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, যদি সঠিক সময়ে ট্রেন না দাঁড়াত, তবে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ওই মহিলার বুদ্ধিমত্তার জেরেই চালক বিপদ বুঝতে পারেন এবং আগেই ট্রেন থামিয়ে দেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ওই লাইন মেরামতি করা হয়। এরপর ফের স্বাভাবিক হয় রেল পরিষেবা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here