• দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আকাশে জমা কালো মেঘে অশনী সঙ্কেত দেখছেন মার্কিন মুলুকের বাসিন্দারা (US)। যেকোনও মুহর্তেই আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়। বিগত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ-মধ্য ও পূর্ব আমেরিকায় টর্নেডো(Tornedo)-র দাপট দেখা যাচ্ছে।

গত সপ্তাহের পর এই সপ্তাহেও ফের আমেরিকায় তাণ্ডব চালাল টর্নেডো । ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক শহর। সূত্রের খবর, টর্নেডোর জেরে ইতিমধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এই বিধ্বংসী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে মিসিসিপি, আরকানসাস, আলবামার মতো শহরগুলি।

সূত্রের খবর, টর্নেডোর জেরে একাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। মৃতের পাশাপাশি বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে কেউ আটকে আছে কিনা, সেদিকেও নজরদারি চলছে। এছাড়াও, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, গত সপ্তাহের পর শুক্রবার নতুন করে টর্নেডো আছড়ে পড়ে আমেরিকায়। ঝড়ের দাপটে বেসামাল অবস্থা হয় দক্ষিণ এবং পশ্চিম-মধ্য আমেরিকার। শুক্রবারের পর শনিবারেও সারাদিন সেদেশের একাধিক এলাকায় ঝড়বৃষ্টি চলে। তছনছ হয়ে যায় বেশ কিছু শহর। এরপরই প্রশাসনের তরফে একাধিক এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হেলিকপ্টার থেকে ছবি তোলার বন্দোবস্ত করে প্রশাসন। তাতেই বিভিন্ন শহরের দুরাবস্থার ছবি ফুটে উঠেছে। দেখা গিয়েছে যে কীভাবে তছনছ হয়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আমেরিকার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে অজস্র টর্নেডো ধেয়ে এসেছিল মিসিসিপি, আলবামার মতো শহরগুলির দিকে। তাতেই লন্ডভন্ড অবস্থা হয়ে যায়।

শনিবারই আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ আমেরিকার পূর্ব উপকূলের দিকে রয়েছে। আজ রবিবারও দিনভর ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইওয়া থেকে মিসিসিপি, একাধিক শহরে টর্নেডোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার থেকেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আমেরিকার ঘূর্ণিঝড়। একাধিক টর্নেডো তৈরি হয়, যার মধ্যে অনেকগুলিই আকারে ও শক্তিতে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় ছিল। আরকানসাসে আছড়ে পড়া এই টর্নেডোয় তছনছ হয়ে যায় লিটল রক শহর। কেবলমাত্র ওই শহরেই কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, উল্টে গিয়েছে বহু গাড়ি, উপড়ে গিয়েছে গাছ। একাধিক শহরে এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। আরকানসাসে জারি করা হয়েছে ইমার্জেন্সি। বর্তমানে ন্যাশনাল গার্ডের সাহায্য নিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিনা বিদ্যুতে দিন কাটাচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here