দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কিছুদিন আগেই চালু হয়েছিল অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত বন্দে ভারত ট্রেন । এবার রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী দু তিন বছরের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নয়া ‘টিল্টিং ট্রেন ।’

সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, চিন, চেক রিপাবলিক, ব্রিটেন, জার্মানি, রোমানিয়া, ইতালি, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া এবং ফিনল্যান্ডে ইতিমধ্যেই টিল্টেড ট্রেনের দেখা পাওয়া যায়।

রেলমন্ত্রক সূত্র জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালেই এই ট্রেনে চড়তে পারবেন ভারতের যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিষয়ে পার্টনারশিপের ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে। ভারতে তৈরি ১০০টি বন্দে ভারত ট্রেনকে প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে টিল্টিং ট্রেনে পরিণত করা হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।

এটি হল একটি বিশেষ প্রযুক্তিতে চলা দ্রুতগতির ট্রেন, যেগুলি সাধারণ রেললাইনের উপর দিয়েই চলবে। শুধু সেই বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত গতিতে চলার পথে কোনও বাঁক এলে, ট্রেনটি বাঁকের উল্টোদিকে হেলে গিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করবে।

যখন কোনও দ্রুতগতিবিশিষ্ট ট্রেন রাস্তায় কোনও বাঁকের মুখে এসে পড়ে, তখন ট্রেনের ভিতরে থাকা ব্যক্তি কিংবা বস্তু এমন এক ধরনের ‘টান’ অনুভব করেন, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স’। সেই টানের কারণেই গড়িয়ে পড়তে শুরু করে ব্যাগপত্র, দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা একে অপরের উপর পড়ে যান। বসে থাকা যাত্রীরাও হেলে পড়তে শুরু করেন একে অপরের উপর।

কিন্তু উন্নত প্রযুক্তিবিশিষ্ট টিল্টিং ট্রেনে থাকবে এমন ব্যবস্থা, যাতে দ্রুতগতির ট্রেন বাঁকের মুখে এসে পড়লেও কোনও রকম সমস্যায় পড়বেন না ভিতর থাকা যাত্রীরা। টিল্টিং ট্রেন বাঁকের মুখে এলেই এমনভাবে হেলে পড়বে বাঁকের উল্টো দিকে, যাতে, সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সকে প্রশমিত করে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। তার ফলে, ভিতরে থাকা বস্তু বা মানুষ, কারওরই গড়িয়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এমনকী, গতিশীল যানবাহনে চড়ে যাঁদের ‘মোশন সিকনেস’ অর্থাৎ, গা গোলানো কিংবা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা থাকে, নয়া এই ট্রেনে তাঁরা সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here