দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ  পৌষমেলা হচ্ছে না।
তবে কুয়াশা মোড়া শীতের সকালে শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় ব্রহ্ম উপাসনার মধ্যে দিয়ে ১৪২৮ বঙ্গাব্দের পৌষ উৎসবের সূচনা হল। যদিও ছাতিমতলায় শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের প্রবেশাধিকার ছিল।  তবে এদিন সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে বেড়ার ধারে উৎসাহী পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। গত বছরও পৌষ মেলা উদযাপন করেনি বিশ্বভারতী। কারণ অবশ্যই কোভিড। শুধুমাত্র পৌষ উৎসব পালন করা হয়।

এ বছরও পৌষ মেলা হচ্ছে না শান্তিনিকেতনে। তবে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি যৌথ উদ্যোগে এবং বোলপুর পৌরসভা ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বোলপুর ডাকবাংলা মাঠে বেশ বড় আকারে পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সেই মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন কুমার দত্ত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন সহ অন্যান্যদের।

তবে পৌষমেলার আদলে এ বছরে বিকল্প এই মেলাকে ঘিরে উৎসবে মাততে শুরু করেছেন বীরভূমবাসী। পর্যটকরাও এই মেলা দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছেন৷ আরও ভিড় বাড়বে বলে আশা উদ্যোক্তাদের।

বিকল্প এই পৌষমেলা চলবে ১১ পৌষ পর্যন্ত৷ মেলায় থাকছে বাউলের আখড়া। সঙ্গে প্রায় ৫০০ স্টল। শান্তিনিকেতন পৌষ মেলার ঢঙেই এদিন সকালে বৈতালিক দিয়ে মেলার সূচনা ৷ ২৫ ডিসম্বর বড়দিনও পালিত হবে। মেলার মঞ্চে রোজই হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসন্তোৎসব এবং পৌষমেলার উপর বোলপুর-শান্তিনিকেতনের অর্থনীতির নিবিড় যোগ রয়েছে। গত কয়েক বছর তা বন্ধ থাকায় রোজগার অনেকটাই মার খাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। এই মেলা ঘিরে পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করায় নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।

বাংলা সংস্কৃতির মঞ্চের তরফ থেকে এই মেলার আয়োজন করা হলেও তাঁদের সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করছেন বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং বোলপুর পুরসভা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here