হীয়া রায়, বনগাঁ:

বিজেপির স্টার প্রচারকের তালিকায় নাম রয়েছে শান্তনু ঠাকুরের। সম্প্রতি দলের নির্দেশে রাজস্থানে তিনি প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই নিজের কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। পোশাকে রেখেছেন রাজস্থানী ছোঁয়া। পাগড়ি মাথায় হুডখোলা গাড়িতে প্রচারে বেড়িয়ে সকলকে চমকে দেন শান্তনু।

অন্য দিকে, এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসও হুডখোলা গাড়িতে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। তাঁর পরনে ছিল সাদা কুর্তা -পায়জামা-।বৃহস্পতিবার হুডখোলা গাড়িতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সারথি ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। এতদিন বনগাঁ লোকসভার অধীনে সাতটি বিধানসভা এলাকায় দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন শান্তনু।

কখনও মতুয়াদের সম্মেলনে গিয়ে প্রচার করেছিলেন। রাজস্থান থেকে ফিরে এ দিনই আবার প্রচার শুরু করলেন শান্তুনু ঠাকুর। এ দিনের প্রচারে শান্তুনু ঠাকুর ছিলেন নিউ লুকে। মাথায় পড়েছিলেন পাগড়ি। প্রচণ্ড রোদ থেকে রেহাই পেতে ছিল সানগ্লাস। হুডখোলা গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ বনগাঁর বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল।

প্রার্থীর গাড়ির পিছনে দলের কর্মীরা ছিলেন বাইকে। এদিন বনগাঁর মতিগঞ্জের মোড় থেকে বাইক মিছিল শুরু হয়। বাগদার হেলেঞ্চায় গিয়ে শেষ হয় মিছিল। বনগাঁর পাইকপাড়ায় প্রার্থীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। হাতে ফুলের থালা এবং শঙ্খ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন বিজেপির মহিলা ব্রিগেড।

নিউ লুকে বিজেপি প্রার্থী আসতেই মহিলারা ফুল ছোড়েন। কেউ বাজান শঙ্খ। আবার কেউ হুডখোলা গাড়ির সামনে গিয়ে প্রার্থীর গলায় মালাও পরিয়ে দেন। বনগাঁ কেন্দ্রে প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সাত বিধানসভা কেন্দ্র চষে বেড়িয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। কর্মীদের নিয়ে বৈঠক, বাড়ি বাড়ি প্রচার, বাজার, স্টেশনের হকারদের সঙ্গে জনসংযোগ ইতিমধ্যেই করেছেন তিনি।

মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় সিএএ নিয়ে বিজেপিকে নিশানাও করেছেন তিনি। আবার কখনও ভোটারদের কাছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ভোট টানার চেষ্টা করেছেন। এদিন বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েতের সহিশপুর, মামুদপুর, পাঁচপোতা, অম্বরপুরে প্রচার সারেন তিনি। এ দিনের প্রচারে বিশ্বজিৎ ছিলেন সাদা কুর্তা-পাজামায়। কখনও হুডখোলা গাড়িতে, কখনও হেঁটে আবার কখনও মতুয়াদের ডঙ্কা, কাসরের সঙ্গে গ্রামের মানুষজনের দুয়ারে গিয়ে প্রচার করেন তিনি।

কেউ কেউ তৃনমূল প্রার্থীর মাথায় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। গ্রামের ভোটারদের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধার কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রচারের শেষ ছিল অম্বরপুর গ্রামে। গ্রামের রাস্তার ধারে গাছের ছায়ায় পাড়ার কয়েকজন ক্যারাম খেলছিলেন। প্রচারের ফাঁকে তাঁদের সঙ্গে ক্যারামও খেলেন বিশ্বজিৎ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here