দেশের সময়,কলকাতা : রাজ্যসভা নির্বাচনে শমীক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করল বিজেপি।

রবিবারই বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শমীক ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে সেখানে। সাত রাজ্য থেকে বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থীদের তালিকা এদিন প্রকাশ করা হয়। ২ এপ্রিল এ রাজ্য থেকে মনোনীত ৫ সাংসদের ৬ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। সেখানে ইতিমধ্যেই তৃণমূল তাদের ৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ফেলেছে। বিজেপিও ১ জন প্রার্থী দিতে পারত। সেই হিসাবেই শমীকের নাম দেওয়া হল। সব মিলিয়ে দেশের ১৫টি রাজ্যে ৫৬টি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা হচ্ছে। সর্বত্রই ২৭ তারিখ ভোট।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় ৫টি আসন শূন্য হচ্ছে। তার মধ্যে চারটি পাবে তণমূল, একটি বিজেপি। ওই আসনের জন্য শমীককে বেছে নিলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা।
শমীক বহুদিনের বিজেপি কর্মী ও নেতা। তিনি সুবক্তা। সংসদে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মাইলফলক সব বক্তৃতা গড় গড় করে মুখস্থ বলতে পারেন। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তিনি।
বিজেপির একটি সূত্রের মতে, আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবারের সুপারিশে শমীককে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে। কারণ, রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন বলে শোনা যায়নি।

এর আগে কোচবিহারের অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে বিজেপি। সূত্রের দাবি, তেমনই কোনও মুখকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলেন সুকান্ত। আবার শুভেন্দুর প্রস্তাব ছিল রাজ্য বিজেপির কোনও নেত্রীকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হোক। এ ব্যাপারে চার জনের নাম শোনা যাচ্ছিল। প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জনা বসু এবং এক চিকিৎসক। বরং বিজেপির মধ্যে এই আলোচনা চলছিল যে শমীককে আগেরবারের মতই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হবে।

শমীক এর আগে বারাসত দক্ষিণ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। তারপর অবশ্য আর ষোলো সালের বিধানসভা ভোটে জিততে পারেননি। গত লোকসভা ভোটে আবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন শমীক। তণমূলের সৌগত রায়ের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি।

তবে অবশেষে এবার তাঁর কপালে শিঁকে ছিড়ল। বিজেপিতে ধারাবাহিকতা রাখার স্বীকৃতি পেলেন শমীক ভট্টাচার্য।

রাজ্যসভার প্রার্থী হয়ে এদিন দলের কাছে ‘কৃতজ্ঞতা’ স্বীকার করেন শমীক। তিনি বলেন, “দলের কাছে, সংগঠনের কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য মনোনীত করেছে।

একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে বাংলার মানুষ আমাদের সেই সংখ্যা দিয়েছে যাতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় একজন সদস্য পাঠাতে পারি।”  একইসঙ্গে পুরনো দিনের কথাও স্মরণ করেন তিনি। এপ্রসঙ্গে স্মৃতি হাতড়ে বলেন, “আমি, রাহুলদা পার্টি অফিসে বসে থাকতাম। আটের দশক তখন। বুদ্ধদেববাবু বলতেন যাঁদের বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই, আমরা তাঁদের সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকি না। সেদিনের সেসব কথা খুব মনে পড়ছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here