দেশের সময় কলকাতা: প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর অবশেষে ছাড়া পেলেন সায়নী ঘোষ। সেই সকাল ১১টা বেজে ২৩ মিনিটে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টারও বেশি জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে ইডি দফতর থেকে বেরোলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল যুবনেত্রী (Saayoni ghosh ED)। সূত্রের খবর, তাঁর সমস্ত বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেই বয়ান ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে।

সায়নীকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে এদিন কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেক শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ইডি অফিসে পৌঁছন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁকে একটি ফর্ম ফিল-আপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়। দুপুরের পর শুরু হয় দফায় দফায় জেরা। তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই লেনদেনের ভিত্তি কী ছিল, সায়নী আয়ের উৎস্য, আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির সঙ্গতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।

সূত্রের খবর, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্রেই সায়নীর নাম উঠে এসেছে তদন্তে। কুন্তলের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করার সময়ই অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগসূত্রের বিষয়টি উঠে এসেছে বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। কয়েকটি সম্পত্তি কেনাবেচার ঘটনায় তৃণমূলের যুবনেত্রীর নাম জড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
সায়নীকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে এদিন কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সেই মোতাবেক শুক্রবার সকাল ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ ইডি অফিসে পৌঁছন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁকে একটি ফর্ম ফিল-আপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়। দুপুরের পর শুরু হয় দফায় দফায় জেরা। ইডি সূত্রে খবর, এদিন সায়নীকে তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেল, আয়কর জমা দেওয়ার নথি এবং যাবতীয় সম্পত্তির নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই লেনদেনের ভিত্তি কী ছিল, সায়নী আয়ের উৎস, আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির সঙ্গতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইডির নোটিসের পর থেকেই আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছিলেন সায়নী। বিক্রমগড়ের বাড়িতেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, আদৌ কি অভিনেত্রী ইডির ডাকে সাড়া দেবেন? নাকি ভোট প্রচারের দোহাই দিয়ে হাজিরা দেবেন না কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে? কিন্তু জল্পনা শেষে দেখা গেল, শুধু যে তিনি হাজিরা দিলেন তাই-ই নয়, বরং যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঢুকেছিলেন তিনি, বেরোনোর সময়ও বজায় রয়েছে। সেই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দিলেন, তদন্তের প্রয়োজনে ১০০ বার ডাকা হলে ১০০ বারই আসবেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here