দেশের সময় ওয়েবডেস্ক  সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে শুধু বাংলা নয়, হইচই সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় স্তরেও। সেখানকার নির্যাতনের ঘটনা শুনে ইতিমধ্যেই একাধিকবার দাবি উঠেছে রাষ্ট্রপতি শাসনের। এবার সন্দেশখালির মহিলারা দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন। মোট ১১ জন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা এবং বাকিরা পুরুষ। 

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীকে নিজেদের নির্যাতনের কথা জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন ওই ১১ জন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি, দুঃখপ্রকাশও করেছেন।

সেন্টার ফর এসসি এসটি সাপোর্ট অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ড. পার্থ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সন্দেশখালির ‘নির্যাতিত’রা শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। পরে সংবাদমাধ্যমে পার্থ জানান, সন্দেশখালির মহিলা এবং নির্যাতিত পুরুষদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন রাষ্ট্রপতি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। পার্থ এও জানান, সন্দেশখালির মহিলার এই ইস্যুতে দ্রুত প্রতিকার চেয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে থেকে। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি উঠেছে, তা নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু কোনও মন্তব্য করেছেন কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি পার্থ বিশ্বাস। 

সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন এলাকার মহিলারা। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন শারীরিক নির্যাতনের। এর পরই শাহজাহান-সহ তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবি তুলে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। শুরু হয়েছিল আন্দোলন। যদিও শাসকশিবির সেই আন্দোলনের নেপথ্যে বিরোধীদের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করেছিল।

এমনও বলেছিল, যা যা অভিযোগ উঠছে, তার অনেকটাই সত্যি নয়। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালির ঘটনার খবর পেয়ে দিল্লি থেকে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান এমনকি, তফসিলি জাতি এবং জনজাতির অধিকার রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় এসসি এসটি কমিশনও। তাঁরা সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে কথা বলে, এলাকা ঘুরে দেখে রিপোর্ট দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here