দেশের সময় ,মালদহ: মালদহের সভা থেকে সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি, একই সুরে তিনি আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকেও৷ যখন এক দিকে রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে হাজার বিতর্ক চলছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘ওরা আগে সিপিএমের হাত ছাড়ুক৷’

মালদায় যখন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলছে, ঠিক সেই সময় একই জেলায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার মালদার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিএম অনেক মেরেছে, মাথা থেকে পা ফাটিয়ে দিয়েছে, সিপিএম-কে কোনওদিন ক্ষমা করব না। আর সিপিএম-এর সঙ্গে যারা ঘর করে, আমি তাদের ক্ষমা করি না।’ এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কংগ্রেসকে বললাম তোমাদের একটাও বিধায়ক নেই, দু’টি সাংসদ আসন মালদায় দিচ্ছি, আমরা জিতিয়ে দেব। ওরা বলল না, অনেক চাই, আমি বললাম একটাও দেব না, আগে সিপিএম-এর সঙ্গ ছাড়।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরপর দু’টি আসনে কংগ্রেস জিতেছে। বারবার জিতেছে। আপনাদের জন্য কী করেছে? বরকতদা যখন ছিলেন এখটা গৌরভবন করেছিলেন। সেই গৌরভবনেরও আজকে গুরুতর অবস্থা। আর বরকতদার মৃত্যুর পর থেকে, তাঁর পরিবারের লেকারে ভোটে দাঁড়ান আমার আপত্তি নেই।

তৃণমূল কংগ্রেসেও লড়বে, ওরা সিপিএম-এর সঙ্গে লড়বে, বিজেপির হাত শক্তিশালী করার জন্য। আমারা বিজেপিকে টাইট দিতে গেলে, রাজনৈতিক ফাইট আমরাই করতে পারব, আর কেউ করতে পারবে না।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘কখন কী বলছেন আমরা জানি না, এর কী প্রতিক্রিয়া দেব? উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো এটাও বলেছেন যে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। উনি আলোচনা করে জানলেন কী করে?’

এদিন ফের একবার ‘একলা চলা’র ডাক দেন মমতা। তিনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে আমাদের যে লড়াই সেটা চলবে, আমরা একাই লড়ব। বিজেপিকে কেউ যদি ভরতে পরাস্ত করতে পারে, সে তৃণমূল কংগ্রেস, আর কেউ পারবে না।’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে একা লড়াই করার কথা এর আগেও শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদায় এই মন্তব্য করছেন, ঠিক সেই সময়ই জেলায় ভারত জোড়ো কর্মসূচি ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। এর আদিন রাহুল গান্ধীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে ভেঙে যায় রাহুলের গাড়ির কাচ।

এই প্রসঙ্গে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, রাহুলের যাত্রা পথে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার, ফেস্টুনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য দলের পতাকা। এদিন বিহারের কাটিহার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে ঢোকে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। বাংলা – বিহার সীমানার কাছে রাহুলের গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। ভিড়ের জন্য মঞ্চে নয়, বাসের মাথায় চেপে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় রাহুলকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here