দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরেই কলকাতায় পুরযুদ্ধ।শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে।

জমে উঠেছে ছোট লালবাড়ি দখলের লড়াই । ১৪৪ টি ওয়ার্ডের পৌরবাসী রবিবাসরীয় সকালে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেরা বিগত দিনগুলিতে নিজের নিজের মতো করে প্রচার চালিয়েছে । আগামিকাল শহরের প্রায় ৪০ লাখ ৪৮ হাজার ভোটার কলকাতা পৌরনিগম নির্বাচনে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই একাধিক অভিযোগ তুলে আসছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। তার মধ্যে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের ইস্যুটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই সবের মধ্যেই রবিবার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হবে সকাল ৭ টা থেকে, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা পৌরনিগম নির্বাচনের ভোট গণনা হবে ২১ ডিসেম্বর এবং ভোট প্রক্রিয়া ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। 

পুরভোটে পুলিশের নিরাপত্তায় আস্থা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাত পোহালেই ভোট। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রুট মার্চ ও নাকা চেকিং। পুরভোটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাহিনী আরও বাড়ানো হচ্ছে। শুক্রবারই হাইকোর্টে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে। দরকারে আরও বাড়ানো হবে।  
 
লালবাজার সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশ বাহিনী থেকে আরও বাড়তি ৫০০ কর্মী চাওয়া হয়েছে। ফলে পুরভোটে মোতায়েন করা হবে সবমিলিয়ে ২৩ হাজার ৫০০ পুলিশ কর্মী। তার মধ্যে ১৮ হাজার কলকাতা পুলিশের কর্মী। বাকি ৫৫০০ কর্মী রাজ্য পুলিশের। তাছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে ১৪৪টি ওয়ার্ডে নজরদারি চালানো হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি বুথে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং, শহরের প্রায় ৫০টি জায়গায় নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে।

জেলার সীমানা এলাকাগুলিতে অন্য জেলার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যৌথভাবে নাকা চেকিং করছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার সীমানায় জোকা এলাকায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা, বিষ্ণপুর ও ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। নাকা চেকিং করছে হাওড়া পুলিশও। সল্টলেক থেকে কলকাতামুখী গাড়িগুলিতেও করা হচ্ছে নাকা চেকিং। এলাকায় এলাকায় চলছে রুটমার্চ।নিউমার্কেটেও রুটমার্চ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কম্যান্ডো ফোর্সকে।

এদিকে ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। স্পর্শকাতর এলাকায় থাকবে কিউআরটি ও এইচআরএফএস। পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়েও এলাকায় এলাকায় টহল দেবে কলকাতা পুলিশ।


সকালে নিউমার্কেটে রুটমার্চ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কম্যান্ডো ফোর্সকে। মুকুন্দপুর, বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনি এলাকাতেও দেখা গিয়েছে পুলিশের রুটমার্চ। পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে করা হচ্ছে তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেজিস্টার। কারা হোটেলে রয়েছেন তাঁদের পরিচয় পত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন কেউ এলে পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে করা হচ্ছে নাকা চেকিং।

মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথ রয়েছে। বুথগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এদিকে ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। স্পর্শকাতর এলাকায় থাকবে কিউআরটি ও এইচআরএফএস। পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়েও এলাকায় এলাকায় টহল দেবে কলকাতা পুলিশ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য খোলা হয়েছে ১৬টি ডিসিআরসি। অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোট করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর তাই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শহর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here