দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার তোশাখানা মামলাতেও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছরের সাজা দিল আদালত।

তোষাখানা মামলায় ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। মঙ্গলবার সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত। তবে সেখানেই শেষ হয়নি ইমরানের কষ্ট। বুধবার অন্য মামলায় ১৪ বছরের সাজা হল তাঁর। 

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া মহার্ঘ উপহার সামগ্রী তিনি অল্প টাকায় কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এই ব্যাপারে সরকারি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পরই পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তাঁর জাতীয় সংসদের সদস্য পদ বাতিল করে দিয়েছিল। এই মামলায় এই আগে জেলও খেটেছেন ইমরান। 

এদিকে মঙ্গলবার যে মামলায় ইমরান এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সাজা হয়েছে তাতে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের গোপন তথ্য সমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাচারের অভিযোগ আছে। 

এমনিতেই একাধিক মামলার জেরে এখন জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান। গত বছর ডিসেম্বরেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান এবং কুরেশিকে জামিন দিয়েছিল। তবে জামিন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্য মামলাগুলির জন্য জেলেই রয়ে গিয়েছেন ইমরান। 

এই রায় ঘোষণার পরই পিটিআইয়ের মুখপাত্র বলেন, “বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে আরও একটি দুঃখজনক দিন।”
গত অগস্টেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। তারপর জামিনে একবার মুক্তি পেলেও আপাতত জেলেই রয়েছেন ইমরান খান। এই সাজা নতুন করে কার্যকর করা হবে নাকি বর্তমান কারাবাসের সঙ্গেই যুক্ত হবে, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইমরান খানের আইনজীবী জানিয়েছেন, বুশরা বিবিকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ইমরান খানই জেলে থাকায় এবারের নির্বাচন কার্যত একতরফা হবে, বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here