দেশের সময় , বনগাঁ: প্রকাশ্য সভায় নিজে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী গোপাল শেঠ। এমনকি তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে অনুমান করছেন তিনি। দলের কাজ করতে গিয়ে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে তিনি সেই মৃত্যু মাথা পেতে নেবেন বলে জানান। দেখুন ভিডিও:

বৃহস্পতিবার বনগাঁর (Bangaon)মতিগঞ্জে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন নাম না করে গোপাল শেঠ বলেন, ‘দিদির দলের প্রতি আর অন্যায় হতে দেব না। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবেন। সন্ত্রাসমুক্ত হয়ে মানুষ নিজের পছন্দের মানুষকে ভোট দেবেন। আর এই পরিস্থিতি তৈরির করার জন্য আমি টার্গেট হয়ে গিয়েছি।’

গোপাল শেঠ অভিযোগ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে একজন খুনের আসামী, সোনা পাচারে অভিযুক্তকে দাঁড় করানো হয়েছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি টাকা, শাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্দে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর এবং এবারের প্রার্থী প্রীতিকনা মন্ডলের বাড়িতেও অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গোপাল শেঠ।

এদিন তিনি আরও‌ বলেন, দলে নাম লিখিয়ে রেখে দলের প্রার্থীদের হারানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জী সব লক্ষ্য রাখছেন। বনগাঁর মানুষও তার যোগ্য জবাব দেবেন। আর কোনও অন্যায় হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন, পুলিশকে সব জানানো হয়েছে।

এদিন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী দেরিতে হলেও আসল সত্যটা শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরে ব্যবস্থাগ্রহন করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এতো উন্নয়নের পরেও লোকসভা, বিধানসভায় বনগাঁয় তৃণমূলের ভরাডুবি হল ?

এই প্রসঙ্গে এদিন শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘হেরে যাওয়ার ভয়ে এসব কথা বলা হচ্ছে। উনি জিতে আসলে প্রথম মালাটা আমিই তাকে পরিয়ে অভিনন্দন জানাবো। ওনার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। ওনাকে কেউ কিছু করার আগে আমাকে আঘাত করতে হবে।’

প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একসময় দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর বাবাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। আর আমার পরিবারের সরাসরি কেউ নির্দলে দাঁড়ায় নি। আমাকে দল থেকে কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না। ২০১০ সাল থেকে বনগাঁয় যা উন্নয়নের কাজ করেছি, বনগাঁর মানুষ তা জানেন। এখন তার সব স্তব্ধ হয়ে গেছে।’‌‌

এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রাম পদ দাস বলেন, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এর সঙ্গে বিজেপি-র কোন সম্পর্ক নেই৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here