বাকিবুর-যোগে আরও সম্পত্তির হদিশ ? ‘বনগাঁর তিন ব্যবসায়ী মন্টু, মনোতোষ ও কালীদাস সাহার একাধিক সম্পত্তির হদিশ, সল্টলেকে হোটেল ছাড়াও জুয়েলারি সংস্থার হদিশ, হদিশ মিলেছে চালকল, আটাকলেরও, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে কেনা হয় ৪টি সংস্থা’, ২০২১ সালে মালিকানা বদল হয় সল্টলেকের হোটেলের: ইডি সূত্র।

রেশন দুর্নীতিতে এবার ইডি-র নজরে বনগাঁর সাহা ব্রাদার্স। ইডি সূত্রে দাবি, ২০১৯ সালে মাত্র ৩ মাসে ৩টি কোম্পানি খোলেন এরা। শনিবার তাঁদের চাল কল, আটা কল, বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালাল ইডি। ৩ জনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মন্টু সাহা, কালীদাস সাহা ও মনোতোষ সাহার নাম।

দেশের সময়: রেশন দুর্নীতির শিকড়ের খোঁজে এবার বনগাঁয় অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার ওই অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই থরহরিকম্প শুরু হয় সীমান্ত-শহরে। তবে শুধু বনগাঁ নয়, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার তল্লাশি চালায় ইডি।

তদন্তকারীরা হানা দেন কালুপুরের একটি চালকল ও একটি আটাকলে। জানা গিয়েছে, ওই মিল দু’টির মালিক মন্টু সাহা ও কালীদাস সাহা। তাঁদের বাড়িতেও দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের। যদিও এ ব্যাপারে মিল মালিকদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শহরে জোর চর্চা, রেশন দুর্নীতির টাকা কি শুধু চালকল, আটাকলেই সীমাবদ্ধ ছিল, নাকি এর ভাগ পেয়েছেন বনগাঁর নেতানেত্রীরাও।

কাদের পকেটে ঢুকেছে সেই টাকা। তাঁরাও কি ইডির আতশকাচের তলায়? কালুপুর ছেড়ে কি এবার তাহলে বনগাঁ শহরে কোনও নেতার বাড়িতে হানা দেবেন ইডি আধিকারিকরা? এসব নিয়েই জোর চর্চা চলছে বনগাঁর অলিতে গলিতে, চায়ের দোকানে।

কারা এই মন্টু সাহা ও কালীদাস সাহা ? এরা একদিকে আটা কলের মালিক, এরাই  আবার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি আলিশান হোটেলের মালিক। 

ইডি সূত্রে দাবি, কালুপুরের রাধাকৃষ্ণ আটা কলে রেশনের গম আনা হত।  রেশন কেলেঙ্কারিতে এই আটা কল মালিকদের ভূমিকা কী ছিল, খতিয়ে দেখছে ইডি। এই দুই ব্যক্তির  সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি হোটেলেও চলছে তল্লাশি। ২০২১ সালে হোটেলের মালিকানা এই তিনজনের হাতে আসে বলে ইডি-র দাবি।  ইডি-র দাবি, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুর রহমানকে জেরা করে একাধিক রেশন ডিলার ও ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। তবে কি, বাকিবুরকে মডেল করে রেশন বণ্টন দুর্নীতির টাকা ছড়িয়েছিল হোটেল ব্যবসাতেও? সল্টলেকের হোটেলে ইডি-র তল্লাশি।  দেখুন ভিডিও

ইডি সূত্রে খবর, ২০২০ সালের অক্টোবরে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা থেকে বাজেয়াপ্ত হয় গম ভর্তি প্রচুর ট্রাক। সবমিলিয়ে ১৫৭টি ট্রাক থেকে ৫ হাজার ১০১ মেট্রিক টন গম বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ওই গম বাংলাদেশে পাচারের ছক কষা হয়েছিল।

কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তা সীমান্তে পৌঁছনোর আগেই ধরা পড়ে যায়। ইডি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পুলিশ বিপুল পরিমাণ গম বাজেয়াপ্ত করার পর খাদ্য দফতরের তরফে নথি ইস্যু করা হয় ৩১ অক্টোবর।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, বাজেয়াপ্ত করা গম মোট চারটি জায়গায় পাঠানো হয়েছে। যার সিংহভাগই পাঠানো হয়েছে বাকিবুরের রাইস মিল এবং বনগাঁর কালুপুরের ওই আটাকলে। সেই গমের হিসেব মেলাতেই এবার অভিযান ইডির। রেশন দুর্নীতির তদন্তে কার্যত তেড়েফুড়ে নেমেছে তারা। কালুপুরের ওই আটামিলের সঙ্গে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কী লিঙ্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখাটাই এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মূল লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে।

তবে স্থানীয় মহলের একাংশের দাবি, কালুপুরের আটাকলের মালিকের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সখ্যতা এবং ঘনিষ্ঠতা বেশ ভালোই। সেই সূত্রে এই আটামিল থেকে দুর্নীতির নতুন তথ্য ইডির হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকিবুরকে জেরা করার পরই ইডি আধিকারিকরা কালুপুরের এই আটামিল সম্পর্কে জানতে পারেন।

তবে এই আটামিলে অভিযানের খবর পেয়ে যাতে অন্য মিলগুলি সতর্ক হয়ে যাওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য শনিবার একযোগে রাজ্যের সাতটি জায়গায় অভিযান চালান ইডির আধিকারিকরা।

ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া বিপুল পরিমাণ গম পাঠানো হয়েছিল বেড়াচাঁপায় বাকিবুকের চালকল সহ মোট চারটি মিলে। সেই তালিকায় ছিল বনগাঁর কালুপুরের ওই আটামিল। বাজেয়াপ্ত গমের মধ্যে ১ হাজার ৬৫২ মেট্রিন টন গম পাঠানো হয়েছিল কালুপুরের এই আটাকলে।

রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি আসরে নামতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান কালুপুরের ওই চালকল ও আটামিলে।

স্বাধীনতার পর দেশের সবথেকে বড় রেশন দুর্নীতি সম্ভবত বাংলাতেই হয়েছে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। কীভাবে ভুয়ো রেশন কার্ডে বরাদ্দ চাল-গম খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার পর চোখ কপালে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের। আর এই বিশাল দুর্নীতির সঙ্গে বাকিবুর ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন ইডি গোয়েন্দারা। ইডির তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, বাংলায় ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রকে কোনও তথ্য দেয়নি রাজ্য সরকার।

সেই কার্ডগুলি বাতিল করার পরিবর্তে ব্লক করে রেখেছিল খাদ্য দফতর। ইডির আধিকারিকদের দাবি, ১ কোটি ৬৬ লক্ষ রেশন কার্ডের জন্য মাসে ৫ কেজি করে কেন্দ্রীয় চাল বরাদ্দ ছিল। অর্থাৎ বছরে ৬০ কেজি। সেই চাল ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে খোলাবাজারে। যা থেকে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত এত বড় রেশন দুর্নীতির নজির নেই বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। তাদের দাবি, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে রাজ্যের রেশন বণ্টন ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল ক্যাগ। তাতে কত মানুষ রেশন পান, কতটা পরিমাণে পান, কত কার্ড বাতিল করা হয়েছে, এমন অনেক প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

এরপর তথ্য চেয়ে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয় ক্যাগ। সেই চিঠিরও জবাব দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে। ইডির দাবি, দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি রাজ্য সরকার। এই দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকারের কয়েকজন আমলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে ১২টি ভুয়ো সংস্থা খোলে বাকিবুর। একাজে মদত ছিল জ্যোতিপ্রিয়র।

তারমধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী ও তাঁর আপ্ত সহায়কদের কাছ থেকে পাওয়া মোট ২৪টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এই ফোনগুলির মধ্যেই রেশন দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা।

বাকিবুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের চ্যাট থেকে ইডির গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন, ২ দফায় জ্যোতিপ্রিয়কে ৮০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে বাকিবুর। এমনকী বাকিবুর যে জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের বিদেশ সফরের টিকিট কেটে দিত, সেটাও জানা গিয়েছে মোবাইলের চ্যাট থেকেই। ইডির দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলগুলির চ্যাট হিস্ট্রি ভালোভাবে খতিয়ে দেখলে রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে আরও বহু তথ্য মিলবে। যা কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ারই শামিল।

এই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা নজর রাখছেন বাকিবুরের নামে খোলা ১২টি সংস্থার উপরেও। যেগুলি খোলা হয়েছিল বেনামে। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কত টাকা লেনদেন হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য জোগাড়ে এখন মরিয়া ইডি। কারণ, ওই লেনদেনের সমস্ত হাতে আসা মানেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, ঠিক কত কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই কলকাতায় একাধিক জায়গায় বাকিবুরের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে রাজারহাট, পার্ক স্ট্রিটের মতো জায়গাও। চিনার পার্কে রয়েছে বাকিবুরের হোটেল, বার কাম রেস্তরাঁ। এখনও পর্যন্ত বাকিবুরের নামে ১৬০০ কাঠার বেশি জমির খোঁজ মিলেছে। ইডির হাতে আসা তথ্য বলছে, বাকিবুরের মতোই জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির পরিমাণ। ভুয়ো সংস্থা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ওই সংস্থাগুলিতে জমা পড়েছিল প্রায় ৮ কোটি টাকা। এরউপর বিধাননগর ও শান্তিনিকেতনের বাড়ি মিলিয়ে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। সঙ্গে মন্তেশ্বরে পৈত্রিক বাড়ি। বাকিবুর আপাত নিরীহ একজন। কিন্তু নিরীহ চেহারার আড়ালেই সে দুর্নীতির খলনায়ক, এমনটাই মনে করছে ইডি।

দুবাইয়ে ফ্ল্যাট রয়েছে বাকিবুরের। বিদেশে যাতায়াত তার কাছে ছিল একেবারে জলভাত। একশো কোটিরও বেশি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে সে বিদেশে পাচার করেছে বলে ইডির কাছে তথ্য এসেছে। এদিকে, রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগতেই এক রহস্যময়ী মহিলার নাম সামনে চলে এসেছে। তিনি বিদেশে থাকেন।

মনে করা হচ্ছে, ওই মহিলার মাধ্যমেই বিদেশে বিনিয়োগ করা হয়েছে রেশন দুর্নীতির টাকা। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকা যে শুধু বাকিবুরের পকেটে যেত, তা নয়। বহু পকেটেই যেত সেই টাকা। ২০১৭ সালের পর বাকিবুরের বিদেশে যাওয়া বেড়ে গিয়েছিল। বিদেশে কী কারণে যেত সে, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত, এসবই এখন খতিয়ে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা।

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে শনিবার নদিয়ার রানাঘাটের দুটি জায়গায় হানা দেয় ইডি । রানাঘাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড বহরমপুর রোডে চাল কল মালিক ও রেশন ডিলার নিতাই ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানচালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সকাল ৯টা নাগাদ ইডি-র ৮ জনের দল পৌঁছে যায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে এই চাল কল মালিক ও রেশন ডিলারের কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে ইডি। পাশাপাশি, রানাঘাটের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক পাড়ায় রেশন ডিলার সিদ্ধেশ্বর বিশ্বাসের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি ৷

২২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, এ জে সি বোস রোডের বহুতলে এখনও তল্লাশিতে ইডি

প্রসঙ্গত,গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলে বাকিবুর রহমান। রেশন দুর্নীতি মামলায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। দিনে দিনে আরও বাড়ছে তদন্তের গতি। শনিবার দিনভর বেশ কয়েকটি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে যে ক’টি জায়গা থেকে তদন্তকারীরা বেরিয়ে গিয়েছেন, সেখান থেকে বিভিন্ন নথিপত্র এই অফিসে থাকা তদন্তকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলির সঙ্গে এই অফিসে থাকা নথিপত্র গুলিকে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। শনিবারই আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডের একটি বহুতলের ছ’তলায় তল্লাশিতে যান তদন্তকারীরা। 

তারপর থেকে ২২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও জোরকদমে চলছে তল্লাশি অভিযান। এখনও বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও সেখানেই রয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এখানেই রয়েছেন সংস্থার মালিক অঙ্কিত চন্দ্র। তাঁকেও অফিসের ভিতরে একাধিক নথিপত্র দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে যে ক’টি জায়গা থেকে তদন্তকারীরা বেরিয়ে গিয়েছেন, সেখান থেকে বিভিন্ন নথিপত্র এই অফিসে থাকা তদন্তকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলির সঙ্গে এই অফিসে থাকা নথিপত্র গুলিকে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here