দেশের সময় , ওয়েবডেস্ক :এবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কবে থেকে দেশে লাগু হবে এই আইন।

অমিত শাহ জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ(CAA) নোটিফিকেশন অফিসিয়ালি জারি করা হবে। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসে এই আইন লাগু হবে বলে স্পষ্ট ঘোষণা তাঁর। একটি সংবাদমাধ্যমের গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অমিত শাহ বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকরী হবে সিএএ (CAA) আইন। খুব শীঘ্রই এই নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করা হবে। এই নিয়ে কারও কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না।’

সংবাদমাধ্যমের এই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ আরও বলেন,সিএএ (CAA ) এই দেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এই নিয়ে কারও মনে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।সিএএ ( CAA ) লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস সরকারই। দেশভাগের সময় যখন লাখ লাখ উদবাস্তু এ দেশে এসে উঠেছিলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই কংগ্রেসই। এখন তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছে।’ এর আগেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, দেশে সিএএ (CAA ) কার্যকরী হবেই। পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে ঠেকাতে পারবে না।

২০১৯ সালের শেষ লগ্নে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়েছিল সংসদে। তবে তারপর থেকে চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও তা কার্যকর করেনি। ২০১৯ সালে এই আইন আসার পর দেশ জুড়ে আন্দোলন দেখা গিয়েছিল। একাধিক রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি পথে নেমেছিল। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা গিয়েছিল।

কেন্দ্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই সিএএ (CAA )। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য সিএএ (CAA) লাগু হবে না। কেন্দ্রের দাবি, এ দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সিএএ (CAA) আইনের জেরে কোনওভাবেই প্রভাবিত হবে না। ভারতীয় মুসলিমদেরও উপরও কোনও প্রভাব পড়বে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here