রতন সিনহা, দেশের সময় : বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে রক্তের সংকট মেটাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল বনগাঁ চেম্বার অব কমার্স ৷

সীমান্ত শহর বনগাঁ সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা কোন না কোন ভাবে অসুস্থ এবং দুস্থ ৷ যাঁদের অনেকেরই আবার নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন হয় ৷ তাঁরা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে বা বাগদা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে তাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ করে থাকেন৷ তবে অনেক সময় এই হাসপাতালগুলিতেও রক্তের আকাল দেখা দেয় ৷ তখন সমস্যায় পড়েন রোগীরা৷ যাতে কোন মানুষ রক্তের অভাবে প্রাণ না হারান সে কথা ভেবেই বনগাঁ চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে রবিবার বসাক পাড়ায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন বলে জানান, সংস্থার সম্পাদক বিনয় সিংহ৷ তাঁর কথায় দুর্গাপুজোর মরশুমে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমেছে। তাই দুর্গাপুজো কে সামনে রেখে রক্তের চাহিদা মেটাতে এগিয়ে এলেন শ তাঁদের ৭১ জন সদস্য ৷ রবিবার বনগাঁর বসাক পাড়ায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে রক্ত দিলেন তাঁরা।

বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সারা বছর ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হলেও মাঝেমধ্যেই রক্তের সংকট দেখা দিচ্ছে বনগাঁ ব্লাড ব্যাংকে। হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক গোপাল পোদ্দারের চেষ্টায় কিছু কিছু রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয় বিভিন্ন সময় ৷ তবে উৎসবের মরশুমে রক্তের অভাব যাতে না থাকে সেই প্রচেষ্টা করে চলেছেন বলে জানান গোপাল বাবু ৷

ডাক্তার পোদ্দারের কাছ থেকে এই সংকটের কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন বনগাঁ চেম্বার অব কমার্সে ৷

সংস্থার এক সদস্য বলেন, আমার ভাই যখন অসুস্থ ছিল প্রচুর রক্তের প্রয়োজন ছিল। ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত পেয়েছিলাম।তাই অন্যের প্রয়োজনে আমি রক্ত দিতে  ছুটে যাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায়।

সংস্থার বিশেষ সদস্য কল্যাণ তারণ বলেন সমস্ত সদস্যদের ইচ্ছাতেই আজকের রক্তদান উৎসবের আয়োজন।দুর্গাপুজোর সময় যাতে বনগাঁ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক রক্তের অভাব না থাকে তার জন্যই এই পরিকল্পনা আমাদের ৷মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদের ইচ্ছা হয়। তাই রক্ত দিয়ে অন্যদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম।

সংস্থার এমন অভাবনীয় উদ্যোগে আপ্লুত চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার। তিনি জানান, ‘এইভাবে যদি সমাজের সচেতন মানুষেরা এগিয়ে আসেন, তাহলে যে কোনো সঙ্কটই মোকাবেলা করা সম্ভব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here