দেশের সময়, বনগাঁ: বিজেপির প্রধান সহ পঞ্চায়েতের ৪ জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের ধর্মপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির হাতছাড়া হল। সেখানে ক্ষমতায় এলো তৃণমূল।

শুক্রবার তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‌দলত্যাগীরা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। 

তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, শুক্রবার তৃণমূলে যোগদান করেন নিলাদ্রী ঢালি, সুভদ্রা মণ্ডল, বাসন্তী বাছাড় ও দীনেশ সরকার। তার ফলে বিজেপির হাতছাড়া হল গাইঘাটা ধর্মপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত।

গোপাল শেঠ বলেন, “ওরা আমাদের কাছে আবেদন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে। সে কারণে আমরা ওদের দলে নিয়েছি।”

প্রধান নীলাদ্রি ঢালি বলেন, “বিজেপির প্রধান হিসেবে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা আরও বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পরিষেবা এবার দিতে পারব৷ কোনরকম ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের দলে নেওয়া হয়নি।”

শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধর্মপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ টা আসনের মধ্যে তৃণমূল ৬ টি, বি.জেপি ৮ টি এবং নির্দল ২ টি আসনে জয়ী হয়। এক নির্দল সদস্য বিজেপিতে যোগদান করায় ৯ টি আসন নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান হন বিজেপির নিলাদ্রী ঢালি।

শুক্রবার বিজেপির সেই প্রধান সহ সুভদ্রা মন্ডল, বাসন্তী বাছাড় নামে আরও দুই বিজেপি সদস্য এবং দীনেশ সরকার নামে এক নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। আর তার কারণেই এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বিজেপির হাত থেকে তৃণমূলের হাতে গেল। আগামী দিনে আরও কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। 

এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ, চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত, গাইঘাটা পঞায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস সহ তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই পঞ্চায়েত এখন থেকে পরিচালনা করবে তৃণমূল। প্রধানের দায়িত্বে নিলাদ্রী ঢালিই থাকছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজে নিজেদেরকে সামিল করতে দল পরিবর্তন বলে জানালেন দলত্যাগী প্রধান নিলাদ্রী ঢালি। তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে থেকে নিজের পঞ্চায়েত এলাকার জন্য রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ঠিকভাবে করতে পারছিলাম না। এখন থেকে সমাজের সবস্তরের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি হল।’‌

যদিও বনগাঁ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডলের দাবি, ‘‌প্রধান সহ বাকি পঞ্চায়েত সদস্যদের ভয় দেখিয়ে দলত্যাগ করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে ফের দল ভাঙানোর খেলার মেতে উঠেছে তৃণমূল।’ 

যদিও তৃণমূল চেয়ারম্যান শংকর দত্ত বলেন, “ওনাদের কোনও ভয় ভীতি দেখানো হয়নি। বিজেপি উচ্ছৃঙ্খল দল অপ্রাসঙ্গিক। তাই ওদের সঙ্গে কেউ থাকতে পারছে না। সে কারণেই ওরা তৃণমূলে চলে এসেছেন।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here