চার রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে কার্যত কংগ্রেস-বিজেপির মুখোমুখি লড়াই। তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে এক সময় জোর টক্কর চললেও ক্রমে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। ‌অন্য দিকে, তেলঙ্গানায় শাসকদল বিআরএসকে পিছনে ফেলে কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছে। তিন রাজ্যে হতে পারে পালাবাদল।

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে দেশের চার রাজ্যে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শিবিরই তাকিয়ে আছে এই বিধানসভা নির্বাচনগুলির ফলাফলের দিকে। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন চার রাজ্যেই পোস্টাল ব্যালটের গণনা চলছে। তাতে দেখা যাচ্ছে হাত ও পদ্ম—দুই শিবিরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। 

চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের আবহে বিজেপি বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক ডাকতে চেয়েছে কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আগামী ৬ ডিসেম্বর বিরোধী নেতৃত্বকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসতে আগ্রহী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। বৈঠকের কথা জানিয়ে বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করাও শুরু করেছেন তিনি। 

বিজেপি এগিয়ে গেল ছত্তীসগঢ়ে। প্রথম থেকে কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও বেলা গড়াতেই পরিসংখ্যান বদলাতে শুরু করে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয় কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি এগিয়ে ৫০টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ৩৯টি আসনে। একটি আসনে এগিয়ে অন্যান্য।

মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ২৩০। তার মধ্যে সরকার গড়ার জন্য অন্তত ১১৬টি আসনে জয় দরকার। এ ছাড়া, তেলঙ্গানার ১১৯টি আসনের মধ্যে ৯০টি, রাজস্থানে ২০০টি আসনের মধ্যে ১০১টি এবং ছত্তীসগঢ়ে ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৬টি আসনে জয় দরকার। তবেই সরকার গঠন করা যাবে।

সকাল ১০টা পর্যন্ত যা খবর, তাতে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তবে ছত্তীসগড় ও তেলেঙ্গানাতে জোর টক্কর দিচ্ছে কংগ্রেস। ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই ট্রেন্ড বোঝা সম্ভব নয়। ইভিএম মেশিন খুললেই ফলাফল পাল্টে যেতে পারে।

সকাল ১০টা পর্যন্ত চার রাজ্যের যা ফলাফল:
মধ্যপ্রদেশে মোট ২৩০টি আসন। এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে গেলে জিততে হবে ১১৬টি আসনে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে সেই ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ওই রাজ্যে গেরুয়া শিবির এগিয়ে ১৩০টি আসনে। আর কংগ্রেস ৯৮টি আসনে এগিয়ে। অন্যান্যরা ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

রাজস্থানেও এগিয়ে আছে বিজেপি। অনেকেই বলছেন মরুরাজ্যের শাসনে পালাবদল হতে পারে। এই রাজ্যে ১০৩টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। কংগ্রেসও খুব একটা পিছিয়ে নেই। তারা ৮১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজস্থানে মোট আসন ১৯৯টি।

মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান কংগ্রেসের চিন্তা বাড়ালেও তেলেঙ্গানা হাসি ফোটাচ্ছে। ভোটের ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখে যে প্রশ্ন বড় হয়ে উঠছে তা হল, কে চন্দ্রশেখর রাও সরকার কি থাকবে তেলেঙ্গানায়, নাকি কুর্সির দখল নেবে কংগ্রেস? দেখা যাচ্ছে, এই রাজ্যে ১১৯ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তাতে কংগ্রেস ম্যাজিক ফিগার ৬০টি আসনের বেশিতে এগিয়ে আছে। সেখানে কেসিআরের দল বিআরএস এগিয়ে ৩৯টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে মাত্র ৬ আসনে।

অন্যদিকে ছত্তীসগড়েও কংগ্রেস বিজেপির থেকে এগিয়ে। ৯০ আসনের এই রাজ্যে হাত শিবির এগিয়ে ৫০টি আসনে। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবির। তারা এগিয়ে ৪০টিতে। 

এখন দেখার, প্রাথমিক এই ট্রেন্ডের সঙ্গে শেষ ফলাফল কতটা মেলে। মনে করা হচ্ছে, আর ঘণ্টা দু’য়েক পরেই অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে কী ফলাফল হতে চলেছে ৪ রাজ্যে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here