দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকালে সোনা এসেছিল শুটিং থেকে। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই ফের সোনা ভারতের ঝুলিতে। মেয়েদের ক্রিকেটে সোনা জিতল হরমনপ্রীত কৌরের টিম। ভারত ১১৬-৭ করেছিল। জবাবে ৯৭-৮এ শেষ শ্রীলঙ্কা। বাংলার তিতাস সাধু বল তাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সফল বাংলার উইকেট কিপার রিচা ঘোষ। এই প্রথম মেয়েদের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে ভারত। আর নেমেই সোনা পেলেন স্মৃতি, শেফালি ভার্মারা।

নেমেই সোনা ফলালেন ভারতের মেয়েরা। আর এশিয়াডে মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের সোনা জয়ের পিছনে বড় অবদান রাখলেন বাংলার তিতাস সাধু। এর আগে ২০১০ ও ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট থাকলেও ভারত তাতে অংশ নেয়নি। প্রথম বার এশিয়ান গেমসে নেমেই ফাইনালে খেলল ভারতের মেয়েরা।

এশিয়াডে মেয়েদের ক্রিকেটের সোনার পদকের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। টসও জেতে ভারত, শেষ অবধি ম্যাচও জিতল ভারত। শুটিংয়ের পর এশিয়াডের দ্বিতীয় দিন ক্রিকেট থেকে দ্বিতীয় সোনা এল ভারতে।

টেনশনের ফাইনাল ম্যাচ। সেই খেলায় জিতে গেল ভারতীয় মহিলা দল। তারা গেমসের ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৯ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। গেমসের ক্রিকেটে খেতাব পেয়ে সোনা জিতল মহিলা দল।


এই ম্যাচে ভারতকে জেতানোর কৃতিত্ব দাবি রাখতে পারেন বাংলার তারকা তিতাস সাধু। যাঁর গেমসেই সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক ঘটেছে। তিতাসের তিন উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।

ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে করেছিল ১১৬/৭। জবাবে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা করতে পেরেছেন ৯৭ রান। এশিয়া কাপে রোহিত শর্মার ভারত হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকেই। এবারও সিংহলিরা হার মানলেন আসল লড়াইয়ে। এবারে বাজিমাত তিতাস, মান্ধানাদের।

ভারতীয় দলের হয়ে রান পেয়েছেন ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা (৪৬) ও জেমি রডরিগেজ (৪২)। বাকিরা ব্যর্থ হলেও ভারতীয় দল জিতল বোলারদের দাপটের জন্য। তিতাস চার ওভার হাত ঘুরিয়ে পেয়েছেন তিন উইকেট ছয় রানের বিনিময়ে।

বাংলার শুধু তিতাস নন, শিলিগুড়ির মেয়ে উইকেটরক্ষক রিচা ঘোষ শেষ সময়ে স্টাম্পিং করে রং বদলে দিয়েছেন। ব্যান্ডেলের মেয়ে তিতাস প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট নিয়ে নিয়েছেন। পরের ওভারে নেন অন্য উইকেট। তিতাসের কাছে এই বোলিং স্বপ্নের স্পেল।

শ্রীলঙ্কা যে এই ম্যাচে পেরে উঠবে না, সেটি বোঝা গিয়েছিল তিতাসের বোলিংয়ে বিপক্ষের দুই ওপেনারের দ্রুত ফিরে যাওয়াতেই। ১৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যায়। আর সব শিকারই বাংলার মেয়ের। কার্যত ১৮ বছরের তিতাসই ম্যাচের সেরা।

এর আগে সব ফাইনালে হার মানতেন হরমনপ্রীতরা। গেমসের ফাইনালে চাকা ঘুরল ভারতের। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছেন বোলাররা। বাকিদের মধ্যে সফল রাজেশ্বরী গায়কোয়াড (২/২০)। একটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপ্তি শর্মা, পূজা বস্ত্রকাররা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here