সুপ্রকাশ চক্রবর্তী, কলকাতা : গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু এবং ইসকন বা হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য অভয়চরণ দে ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ জন্মগ্রহন করেছিলেন কলকাতার সুবর্ন বনিক পরিবারে। সেই সময়ে ম্যাট্রিক পাস করে ১৯১৬ সালে উত্তর কলকাতার স্কটিস চার্চ কলেজে ভর্তী হন। সেখান থেকেই ১৯১৮ তে ইন্টার মিডিয়েট ও ১৯২০ সালে গ্র‍্যাজুয়েশান শেষ করেন। এমনকি গান্ধীজীর অহিংশ আন্দলনে যোগ দিয়ে ইংরেজ সরকারের বিরুধ্যে প্রতিবাদ জানাতে তিনি গ্রেজুয়েশন সার্টিফিকেট পরিত্যাগ করেন বলে জানা যায়।

মনে করা হয় পরবর্তীকালে গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার তার লক্ষ অনেকটাই তৈরি হয়েছিল এই কলেজ জীবন থেকে। প্রভুপাদের সেই কলেজ জীবনের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবার স্কটিস চার্চ কলেজে চালু হল ‘এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রকে এবং একজন ফ্যাকাল্টি সদস্যকে দেওয়া হবে।

স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ মধুমঞ্জরী মন্ডল বলেন,
১৮৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি খ্রিস্টান সংখালঘু এই কলেজের লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি হল সম্পূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষার মাধ্যমে সামগ্রিক মানুষ তৈরি করা যা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নয় বরং তাদের নৈতিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির দিকেও লক্ষ্য রাখে। এটি স্বামী বিবেকানন্দ এবং শ্রীল প্রভুপাদের মতো তাদের প্রাক্তন প্রাক্তন ছাত্রদের কর্মকান্ড থেকে স্পষ্ট হয়, যারা সারা বিশ্বে প্রেম, আধ্যাত্মিকতা এবং ভ্রাতৃত্বের সারমর্ম ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ট্রাস্টি ও ডিন একাডেমিক্স ডক্টর সুমন্ত রুদ্র বলেন, শ্রীল প্রভুপাদের জীবনে স্কটিস চার্চ কলেজের অবদান অনুসন্ধান করাই তাদের মুল উদ্যেশ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here