পিয়ালী মুখার্জী : একটি মেয়ে ছিল মেঘালয়ের মেঘের মতো, পাহাড়ি ঝর্ণার মতো। ছেলেটি ছিল সমতলে বয়ে যাওয়া একটি নদ। বিধাতার ইচ্ছেয় পাহাড়ি তটিনী এসে মিললো সমতলের নদে।
দীর্ঘ প্রায় ২০ থেকে ২২ মাস ধরে চলা অতিমারীর পরিস্থিতিতে ভাঁটা পড়েছে বহু আনন্দ অনুষ্ঠান থেকে বহুলোক সমাগমের। মানুষ সম্মুখীন হয়েছে বহু প্রতিকূল পরিস্থিতির। তবুও কালের নিয়মে থেমে থাকেনি কিছুই। যেমন শুভ বিবাহ। এই মরসুমের শুভক্ষণ আসতেই অনেক প্রতীক্ষিত স্থগিত থাকা বিবাহ শুভ সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যেই। যেমন গত ১ ডিসেম্বর বাংলার ১৫ই অগ্রহায়ণ আসামের মা কামাক্ষা মন্দিরের পুণ্য স্থানে প্রায় এক ডজন বিবাহ সুসম্পন্ন হল।
কলকাতার নাম যেন সব ইতিহাসের সাথেই জুড়ে যায়, এবারেও তার অন্যথা হলো না। কলকাতার শ্যামবাজারের পাত্র সৌরভ হালদার, আর মেঘালয়ের পাত্রী আশা সুনার দৃষ্টান্তের অংশ হয়ে রইলেন। সম্বন্ধ হয়েছিল প্রায় বছর খানেক আগেই, কিন্তু কোভিডের কারণে এতদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। প্রায় বাঙালি রীতি মেনেই হলো এই বিবাহ। পুরোহিত এর মন্ত্রচারণে মন্দ্রিত হলো মায়ের পুণ্য ভূমি। নন্দীমুখ, মালাবদল, কুসুমডিঙ্গি থেকে সিঁদুর দানের সাক্ষী থাকলেন সেখানে উপস্থিত সকল মানুষ।
শুধু সিঁদুর দানের পর মেঘলায় এর রীতি মেনে নববধূর মাথা ঢেকে দেওয়া হলো লাল কাপড়ে। যাতে তার মা বাবা সেই সিঁদুর দেখতে না পান। সেই লজ্জাবস্ত্র খোলা হলো কলকাতা পৌঁছে। কামাক্ষা মন্দিরেই ব্যাবস্থা আইনী রীতি মেনে বিবাহ সম্পন্নের, সেটাও হলো সেই শুভ দিনেই দুই পক্ষের আত্মীয়দের সাক্ষী রেখে। এমনই এক অভিনব বিবাহে একসূত্রে বাধা পড়লো দুই রাজ্য। মেলবন্ধন হলো পাহাড় ও সমতলের। ছবিগুলি তুলেছেন – ধ্রুব হালদার৷