দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার রাত আটটায় কমিশন নির্দেশিত নিষেধাজ্ঞার সময় সময়সীমা শেষ হয়েছে। তারপর বারাসতের সভা থেকে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোঝাতে চাইলেন, বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত এজেন্সি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্ত তাও জিততে পারবে না। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, আমায় এত ভয় পাচ্ছে কেন?

এদিন বারাসতের সভায় মমতা বলেন, “আমাকে এত ভয় কীসের? সারা দেশের এজেন্সি নিয়ে নেমেছেন আপনারা, তাও আমাকে এত ভয়? ভারত সরকারের যত এজেন্সি, সবই আছে বিজেপি-র আছে। কিন্তু তাও হারবে, কারণ আমি স্ট্রিট ফাইটার। আমি যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে লড়াই করি। অমিত শাহকে ফটোশপ করতে হচ্ছে। একটা বাড়িতে গিয়ে ছবি তুলে বলছে, দরজায় দরজায় ঘুরছে। কিন্তু একটা মিটিং করে এমন করে দেখাবে, যেন সব জায়গায় মিটিং করছে।”


গত কয়েকটি জনসভায় বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বাংলার তফসিলিদের ভিখারি বলেছেন মমতার নেতানেত্রীরা। শিডিউল কাস্ট তথা অনগ্রসর শ্রেণির অপমান করেছেন দিদি। এ ব্যাপারে মোদী হাতিয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁয়ের বক্তব্য।

এদিন মমতা পাল্টা বলেন, বিজেপি একটা সভার পিছনে একশ থেকে পাঁচশ কোটি টাকা খরচ করছে। এই টাকায় এক লক্ষ তফসিলি মেয়ের বিয়ে দেওয়া যেত।


সম্প্রতি তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের ক্লাব হাউস চ্যাটে শোনা গিয়েছিল, বাংলার তফসিলি ভোট মোদীর সঙ্গে মজবুত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা জঙ্গলমহল থেকে উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের জন্য অশনি সঙ্কেত বলেই মত অনেকের। অনেকের মতে, মোদীর বক্তব্যের পাল্টা হিসেবেই এদিন তফসিলিদের নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন দিদি।


বাংলায় ভোটের দিনগুলোতে মোদীর সভা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, “নির্বাচনের দিন কেন প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন? দরকার হলে আমিও করব না। উনি ভুল পথে চালিত করছেন সাধারণ মানুষকে। বাংলা বলতে পারে না, এ দিকে রাজ্য দখল করবে বিজেপি। বাংলা বলে না, বলে বাঙ্গাল। সোনা উচ্চারণ করতে পারে না, বলে সুনার বাঙ্গাল।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here