দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কদিন আগেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনামুক্ত হয়ে গিয়েছেন। তাতে শুধু চিকিৎসকরা স্বস্তি পাননি, স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁর অগণিত অনুরাগী।

কিন্তু মঙ্গলবার ভাল খবর শোনাল না হাসপাতালের ডাক্তাররা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এ দিন ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কে হঠাৎ স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। এবং তার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
গ্লাসগো কোমা স্কেলে এই অবনতি ধরা পড়েছে। মস্তিষ্ক কতটা সাড়া দিচ্ছে তা এ ভাবে বোঝা যায়। জানা গিয়েছে, এই সূচক ১১ পর্যন্ত উঠেছিল, তার পর আবার নামতে শুরু করেছে।

তবে স্বস্তির বিষয় হল, শারীরবৃত্তীয় ভাবে তিনি ভাল রয়েছেন। বাকি প্যারামিটার গুলিও ঠিকঠাক রয়েছে বলেই খবর।

গোড়া থেকেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য পাঁচ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ফের স্টেরয়েড সহ অন্যান্য আরও কিছু ওষুধ তাঁকে দেওয়া হচ্ছে।

গ্লাসগো কোমা স্কেল বলতে কী বোঝায়?
১৯৭৪ সালে এই সূচকের কথা ল্যান্সেট জার্নালে প্রথম বার ব্যাখ্যা করেছিলেন গ্রাহাম টিসডেল ও ব্রায়ান জেনেট। এর মাধ্যমে রোগী কতটা সজাগ ও সচেতন রয়েছেন বা তিনি কোমার কোন স্তরে রয়েছেন তা বোঝা যাবে বলে তাঁরা দাবি করেছিলেন।

মূলত মস্তিষ্কে চোটের পর রোগী কতটা সাড়া দিচ্ছে তা বোঝার জন্য এই স্কেল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তী কালে অন্য কারণে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিলেও এই সূচক ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে অনেকটা সফল ভাবে মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বিচার করা যায় বলে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা এখন মনে করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here