দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে আজ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই সকাল থেকেই তুমুল ব্যস্ততা তাঁর বাড়ি সাক্ষীভবনে। বাবা-মাকে প্রণাম করে সকাল আটটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সোজা চলে যান নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় সিংহবাহিনী মন্দিরে। এখানে পুজো দেন তিনি। উপাসনা করে গৌরাঙ্গ জিউ, জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রারও।

দুর্গামন্দির থেকে চলে যান নন্দীগ্রাম থানার কাছে জানকীনাথ মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন। যজ্ঞে অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর যাত্রা করেন হলদিয়ার পথে। হলদিয়ায় ক্ষুদিরাম মোড় থেকে এসডিও অফিস পর্যন্ত একটি ব়্যালি করার কথা তাঁর। তারপরেই মনোনয়ন পেশ করবেন তিনি। এই ব়্যালিতে থাকার কথা কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, শুক্রবার শুভেন্দুর মিছিলে নজিরবিহীন জমায়েত হবে।

নন্দীগ্রামে ভোট গ্রহণ হবে ১ এপ্রিল। তার আগে শুভেন্দুর হয়ে প্রচারে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মমতা-শুভেন্দু লড়াই। তাই এবার গোটা রাজ্যের নজরে নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামেই মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

বৃহস্পতিবার, শিবরাত্রি উপলক্ষে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বাবা ত্রিলোকেশ্বর মহাদেবের মন্দিরে পুজো দেন শুভেন্দু অধিকারী। শিবের মাথায় জলও ঢালেন তিনি। এরপর যান পারুলবাড়ি শিব মন্দিরে। মোট তিনটে মন্দিরে যান তিনি। সারা দিন মন্দির মন্দিরে ঘুরলেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আক্রমণ’ নিয়ে চুপ থেকেছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থাকে এদিন শুভেন্দু বলেছেন, ‘আমি এখানকার ছেলে। আমার সঙ্গে এদের সম্পর্ক বহু পুরনো। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট আসলে এদের কথা মনে পড়ে।’ তাঁর সংযোজন, ;আমি নন্দীগ্রামের ভোটার। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন তিনি ছিলেন হলদিয়ার ভোটার। নন্দীগ্রামের ভোটার হিসেবেই এবার তিনি নন্দীগ্রামে নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন। নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবাড় প্রাইমারি স্কুলে তাঁর বুথ।

২১ সালের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। এরপর সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমোর আহত হওয়ার পর আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। শুরু থেকেই তিনি নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীক মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। বলেছেন, ‘১৭টা অঞ্চলের মধ্যে দুটো অঞ্চলের নাম বলুন, কোভিডের সময় আপনি কোথায় ছিলেন?’

গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে পা রেখেই ভোটযুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছেন।


এর আগে গতমাসে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রাম আমার সবথেকে লাকি জায়গা। নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১-এ তৃণমূল জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জেতার পালা।’মমতাকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক সভা থেকে হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামে হাফ লাখের বেশি ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here