দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনায় মঙ্গলবার জল ঢেলে দিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির লম্বা তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল তাতে জায়গা পেয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।

কিন্ত শোভনের অন্য ক্ষোভ তৈরি হয়। কারণ, বৈশাখীর নাম রাজ্য কর্মসমিতিতে না থাকা। এক যাত্রায় পৃথক ফল মেনে নেননি শোভন। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিয়েছিলেন। বিষ্যুদবার তাতেও জল ঢেলে দিলেন দিলীপ ঘোষরা।

এদিন রাজ্য বিজেপির নেতাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। হাতে গোনা কিছু নেতা যোগ দিয়েছেন মাহেশ্বরী ভবনের হলে। বাকিরা বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও বক্তৃতা দিয়েছেন এদিন। আর সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য শোভনের সঙ্গে বৈশাখীকেও বিজেপির আইটি সেল ভিডিও কনফারেন্সর লিঙ্ক পাঠিয়ে দেয়।

এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আজই সেই ঘোষণা আনুষ্ঠানিক ভাবে হয়ে যাবে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, শোভন দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন। তিনি বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হবেন এর মধ্যে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। কিন্ত তা বলে বৈশাখী! যাঁর কোনও গণআন্দোলনের অভিজ্ঞতাই নেই? বিজেপির অনেকেও আড়ালে বলছেন, এই রকম একটা রেজিমেন্টেড দলে কেবল মাত্র একজনের বান্ধবী হওয়ার দৌলতেই রাজ্য কমিটির সদস্য, এই সিদ্ধান্ত নিচু স্তরে ভাল বার্তা দেবে না।

যদিও রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, বিজেপি অনেক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ শোভনকে গেরুয়া ঝাণ্ডায় সক্রিয় করার চেয়ে বিজেপির কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের থেকে তাঁকে দূরত্বে রেখে দেওয়া। সেসব ভেবেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন।

যদিও তৃণমূলের এক তরুণ মুখপাত্র কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি-রাজ্য কমিটি অফার দিচ্ছে। শোভনের সঙ্গে বৈশাখী ফ্রি!”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here