হাইলাইটস্: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই:

  • বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আপডেট
  • একদিকে এনডিএ, অপরদিকে জেডিইউ
  • কার মুখে ফুটবে হাসি
  • একটু পরেই ফলাফল

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। কোভিড বিধি মেনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ৩৮টি জেলার ৫৫টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগণনা।

রাজনৈতিক দল : এনডিএ/ মহাজোট/ এলজেপি/ অন্যান্য >>>>>>>>>>>>

এনডিএ– এগিয়ে ~ ১৩৩ জয়ী oo

মহাজোট– এগিয়ে ~ ৯৭ জয়ী oo

এলজেপি-এগিয়ে ~ o৫ > জয়ী oo

অন্যান্য– এগিয়ে~ ০৮ >  জয়ী oo

শুরুতেই কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল মহাজোট। বিশেষ করে ভাল শুরু করে তেজস্বী যাদবের আরজেডি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই বদলে যেতে থাকে ছবিটা। বাড়তে থাকে এনডিএ জোটের আসন সংখ্যা। সবথেকে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ১২৭ আসনে। মহাজোট এগিয়ে রয়েছে ১০৩ আসনে।

গণনার কাজে যুক্ত কর্মীদের মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। যাতে অশান্তি না হয় তার জন্য তৎপর প্রশাসন। গণনার জন্য ১৯ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। গড়ে তোলা হয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়।
চতুর্থবারের জন্য কি ফের বিহারের কুর্সিতে বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার? নাকি ১৫ বছর পরে ফের ক্ষমতার বদল হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব উঠে আসবেন নতুন মুখ হিসেবে? বুথ ফেরত সমীক্ষায় কিন্তু তেমনটাই ইঙ্গিত। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষা ভুল প্রমাণিত হবে বলেই দাবি করেছে বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেড।

বিহারের নির্বাচনে এবার ভোটারের সংখ্যা ৭.১৮ কোটি। বিহারের নির্বাচনে বরাবরই বড় ভূমিতা থেকেছে জাতপাতের। তবে সমীক্ষা বলছে এবারের নির্বাচনের ছবিটা অন্য। এবার বিহারে ৪২ শতাংশ ভোটারই ভোট দান করেছেন উন্নয়নের নিরিখে। ৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন বেকারত্বের ইস্যুতে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনী ইস্তাহারে, এনডিএর তরফে ১৯ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। একইভাবে ইস্তাহারে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরজেডিও। এছাড়াও ভোটদানের ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয় হয়ে উঠেছে মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা এবং দুর্নীতির মত বিষয়গুলিও। সমীক্ষা বলছে, এবছর ১১ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে। 

অন্যদিকে আবার নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কও উঠেছে এসেছে বিভিন্ন সময়। ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদানের ঘোষণা করেছিল বিজেপি। যার জেরে রীতমতো ছড়ায় বিতর্ক। বিজেপি টিকা নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিরোধীরা। যদিও পরে অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ক্লিন চিট দেওয়া হয় বিজেপিকে। এদিকে এবারের নির্বাচনই তাঁর শেষ নির্বাচন বলে ঘোষণা করেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

সেক্ষেত্রে নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নীতীশ আবেগের ভিত্তিতে ভোট বৈতরণি পার করার চেষ্ঠা করছেন বলেও খোঁচা দেন বিরোধীরা। অন্যদিকে আবার কেন্দ্র ও রাজ্যের ‘ডবল ইঞ্জিন’, অর্থাৎ দুই সরকারের সহযোগিতায় বিহার উন্নতির নয়া মাইল ফলক স্পর্শ করবে বলে সে রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

এবার একাই লড়েছে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের দল লোক জনশক্তি পার্টি। এবারের নির্বাচনের ফলে তাদের কী ভূমিকা হয় সেটাও দেখার। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় জিততে গেলে ১২২টি আসন পেতে হবে। সেই ম্যাজিক ফিগারের দিকে কে এগিয়ে যাবে সেটাই দেখার। যদিও শাসক ও বিরোধীদের সমস্ত প্রতিশ্রুতি এবং আবেদন নিবেদনে ভোটারদের মন কতটা ভিজল তা অবশ্য জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here