দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ কৃষক আন্দোলন নিয়ে ‘বর্হিশক্তির স্বার্থান্বেষী প্রচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন শচীন তেণ্ডুলকরও।
দিল্লির উপকন্ঠে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বুধবার টুইট করেছিলেন পপ স্টার রিহানা। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গও। তার জবাবে পাল্টা প্রচার শুরু করেছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী ও অক্ষয় কুমার, করণ জোহর সহ বলিউডের সেলিব্রিটি অভিনেতা পরিচালকরা। সেই তালিকায় এ বার সর্বশেষ সংযোজন হল শচীন।

এদিন টুইট করে শচীন লিখেছেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস নয়। বাইরের শক্তি দর্শক হতে পারে কিন্তু তাদের নাক গলানোর অধিকার নেই। ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতীয়রাই সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
একই মত প্রকাশ করেছেন অনিল কুম্বলেও। টুইটে তিনি লিখেছেন, বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে ভারত তার অভ্যন্তরীণ সমস্যা শান্তিপূর্ণ ভাবেই সমাধানে সক্ষম।

শচীন-কুম্বলের টুইট রিটুইট করে এ ব্যাপারে তাঁর পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

টুইটে কেবল এ কথা লেখেননি শচীন। গোটা বিষয়টি নিয়ে এদিন ট্যুইটারে যে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ চলছে, (#IndiaTogether এবং #IndiaAgainstPropaganda) তাও ব্যবহার করেছেন।

শচীনের এই টুইট কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে যে বল দিয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই। ভুলে গেলে চলবে না অতীতে ইউপিএ জমানায় দশ নম্বর জনপথের সৌজন্যে রাজ্যসভায় মনোনীত সদস্য হয়েছিলেন শচীন। অনেকের মতে, তাঁর এদিনের টুইটের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। জাতীয় স্বার্থে ও ভারতের স্বাভিমানের প্রশ্নে শচীন বারবার সরব হয়েছেন।

এদিনের ঘটনা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সাউথ ব্লকের তরফে বলা হয়েছে, দেশের কৃষকদের একটা ক্ষুদ্র অংশ এই আন্দোলন করছে। এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করার আগে সমগ্র তথ্য খতিয়ে দেখা উচিত। বিশেষ করে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত না থেকে সোশাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ দিয়ে স্রেফ সেনসেশন তৈরি করা দায়িত্বশীল কাজ নয়।
সরকারের ওই বিবৃতিতেই ‘ইন্ডিয়া টুগেদার’ এবং ‘ইন্ডিয়া এগেইনস্ট প্রোপাগান্ডা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। সেটাই সেলিব্রিটি, মন্ত্রীসহ হাজার মানুষ এখন ফলো করতে শুরু করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here