দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুলিশের মারে তাঁদের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে কাল মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকল বিজেপি।


রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সহ সভাপতি মুকুল রায়ের নেতৃত্বে সোমবার উত্তরকন্যা অভিযান করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। দিলীপবাবুদের অভিযোগ, পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে। পুলিশের রবার বুলেট ও লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের কর্মী উলেন রায়ের। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বনধ ডেকেছে বিজেপি। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বনধ হবে।


কেন্দ্রের কৃষি নীতির বিরোধিতা করে কাল ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সমস্ত কৃষক সংগঠন। তাদের ডাকা বনধের সময় অবশ্য কম। মাত্র চার ঘণ্টা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানিয়েছেন, নীতিগত ভাবে তাঁরা বনধের বিরুদ্ধে। কারণ, বনধে কর্মদিবস নষ্ট হয়। তবে কৃষকরা যে দাবি করছেন, সে ব্যাপারে তৃণমূলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা শুনে অনেকেই মনে করছিলেন, মঙ্গলবার বনধ ব্যর্থ করতে সরকারি তরফে খুব বেশি তৎপরতা দেখা যাবে না। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গ বনধ ডেকে দেয় বিজেপি।

বিজেপি উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরেই ধুন্ধুমার বাধে পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। ব্যারিকেড ভাঙা, পুলিশের দিকে ইটবৃষ্টি করে দলীর কর্মীরা। পাল্টা জলকামান ও টিয়ার গ্যাসে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে দলের বেশ কিছু মহিলা সমর্থককেও। এদিন তাদের সঙ্গে দেখা করতে জলপাইগুড়িও যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

এদিন অভিযানে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন। তাদের দেখতেই সোমবার বিকেলে ফুলবাড়ির হাসপাতালে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”উলেন রায়কে হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়। কিন্তু গায়ে বন্দুকের গুলির ছিটে ছিল। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে সঠিক কারণটা। তবে হাসপাতালে ১৫ জনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরে গুলির ছররার চিহ্ন। পাখি মারার বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে।”

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ”পুলিশ ও তার গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে। পুলিশ অস্বীকার করেছে কিন্তু এমন ঘটনা কেন ঘটেছে পুলিশকে জবাব দিতে হবে। একাধিক কর্মী সমর্থকদের চোট লেগেছে। গুলি, লাঠি, জলকামান চালাচ্ছে পুলিশ। নন্দীগ্রামের কায়দায় আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। বাড়ির ছাদ থেকে বোমও ফেলা হয়েছে”

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমফান ও করোনা দুর্নীতি, বেকারত্বের হার, চা শ্রমিকদের দুরবস্থা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। পদ্ম শিবিরের যুব মোর্চা এই কর্মসূচির ডাক দিলেও রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা এই অভিযানে শামিল হয়েছেন। কিন্তু অভিযানের প্রথম দিনেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপির নেতারা। 

তবে এদিন গুলি চালানো ও লাঠিচার্জের বিষয় অস্বীকার করেছে রাজ্য পুলিশ। সৌগত রায়, গৌতম দেবের মতো তৃণমূল নেতারা বলেছেন, ”অভিযানে মৃত্যুর কোনও সরকারি নথি নেই৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here