দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানে আবারও  নিজেদের  সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবানরা।  তবে পঞ্জশির যোদ্ধাদের থেকে কঠিন লড়াই পাচ্ছে তারা। তালিবান বিরোধী বাহিনী একটা  বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। একদিকে উভয় পক্ষ পঞ্জশিরে যুদ্ধ করছে, অন্যদিকে তালিবানরা বাঘলান প্রদেশে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে এখানে হামলায় প্রচুর তালিবান নিহত হয়েছে, আবার অনেককে কারাবন্দি করা হয়েছে। বাঘলানে  ৩০০ তালিবানির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
 

বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম ট্যুইট করেছেন যে এই বড় হামলাটি বাঘলানের আন্দরাবে লুকিয়ে থাকা তালিবানদের উপর করা হয়েছিল। এই হামলায় তালিবানরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তালিবান বিরোধী যোদ্ধাদের দাবি, তারা এই হামলায় ৩০০ তালিবানকে হত্যা করেছে। হামলার পর অনেক তালিবানকে বন্দী করা হয়েছে বলেও খবর আছে।

আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও এই হামলার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। একটি ট্যুইটের মাধ্যমে তালিবানদের নিয়ে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘যখন থেকে তালিবানরা হামলা করেছে, তখন তাদের জন্য সশরীরে জীবিত ফিরে আসাও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন তালিবান পঞ্জশিরে তার যোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে।’

তালিবান বিরোধী যোদ্ধারা আফগানিস্তানের উত্তর বাঘলান প্রদেশের তিনটি জেলা থেকে তালিবানকে বিতাড়িত করেছিল। এই যোদ্ধারা শুক্রবার পুল-ই হিসার, দেহ সালাহ এবং বানু জেলা দখল করে, কিন্তু শনিবার তালিবানরা বানু পুনরায় দখল করে নেয়। এখন তালেবানরা অবশিষ্ট আফগানিস্তান দখল করতে লড়াই চালাচ্ছে। পাশাপাশি পঞ্জশিরের দিকেও এগোচ্ছে তালিবানি বাহিনী।

পঞ্জশির যোদ্ধারা তালেবানদের প্রতি চ্যালেঞ্জ 
পঞ্জশির নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ৩২ বছরের ছেলে আহমেদ শাহ বলেছেন যে তিনি তার অধীনে থাকা এলাকা তালিবানদের কাছে হস্তান্তর করবেন না। একই সঙ্গে তাদের পক্ষ থেকে  জোর দেওয়া হয়েছে যে তারা যুদ্ধ চান না। কিন্তু যদি তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ফল না মেলে, তাহলে কেউই যুদ্ধকে এড়াতে পাড়বে না। এমন পরিস্থিতিতে, পঞ্জশির যোদ্ধারা প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। অন্যদিকে, তালিবান এখন যেকোনো পরিস্থিতিতে পঞ্জশির দখল করতে চায়। কারণ, এই এলাকা দখল না করে সরকার চালানো খুবই কঠিন হবে।

তালিবানরা সরকার গঠনের কাছাকাছি,
তালিবানদের জন্য সরকার গঠন করা কঠিন হতে পারে, কিন্তু সেদিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তালিবান নেতারা প্রতিনিয়ত অনেক আফগান নেতার সঙ্গে বৈঠক করছেন। কাবুলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তালিবান নেতারা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গেও আলোচনা করছেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কে যোগদানের চিন্তাও চলছে। তবে এখনও তার পক্ষে পঞ্জশির যোদ্ধাদের জয় করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here