দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্যে এবার কড়া হচ্ছে প্রশাসন। গোটা রাজ্যে একসঙ্গে লকডাউন করার পথে সরকার এখনই না হাঁটলেও এলাকা ধরে ধরে বিধিনিষেধ আরোপের জন্য পুরসভাগুলিকে অনুমতি দিয়ে দিল নবান্ন। যেমন, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এদিন নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।


ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, সোমবার অর্থাৎ ৩ মে থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত সমস্ত দোকান, বাজার, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে তিন দিন বন্ধ রাখতে হবে। এও বলা হয়েছে এখন থেকে সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার এই তিন দিন দক্ষিণ দমদমে দোকান বাজার ২৪ ঘণ্টাই বন্ধ রাখতে হবে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।


ওষুধ-পত্র ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই নির্দেশিকার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। চালু থাকবে সমস্ত জরুরি পরিষেবাও। ঠিক কতদিনের জন্য দোকান বাজার শপিং মলের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে তা স্পষ্ট করেননি পুর প্রশাসক।

পুরসভার নির্দেশ না মেনে নির্দিষ্ট দিনগুলিতে যদি কোনও দোকান খোলা রাখা হয়, তবে তার মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলেও নির্দেশে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুসৃত হবে।
নবান্নের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, পুরসভাগুলি স্থানীয় পরিস্থিতি বুঝে যদি এমন ব্যবস্থা নেয় তাতে সরকারের কোনও আপত্তি নেই। যেখানে অতিশয় হারে করোনা ছড়াচ্ছে সেখানে এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কার্যকরী হতে পারে।

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন যত পজিটিভ কেস আসছে তার অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে। এর পরই রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও হাওড়া জেলা।

গতকালই কলকাতার বড়বাজার এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের দোকান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। বলা হয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা চারদিন চাঁদনী চক, প্রিন্সেপ স্ট্রিট, এজরা স্ট্রিট ক্যানিং স্ট্রিট, ম্যাংগো লেন-সহ আরও বেশ কিছু মার্কেট বন্ধ থাকবে। করোনার শৃঙ্খল ভাঙার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here