দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ফোন করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।


এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করার পর এ খবর জানিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করে তিনি জানান, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অতিশয় উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমিও তাঁকে জানিয়েছি যে লুঠ, ভাঙচুর, খুন, হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ সবই এখনই বন্ধ করা উচিত”। এই টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনশনও করেছেন রাজ্যপাল।

ভোটের ফল প্রকাশের পর যে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে পারে সেই আশঙ্কা ছিলই। হয়েছেও তাই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিক্ষিপ্ত ভাবে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। কোথাও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও মারধর করা হচ্ছে, কোথাও খুন পর্যন্ত হচ্ছে। এ সব ঘটনা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন বাম ও বিজেপি নেতারা।

সোমবার এ ব্যাপারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পর আবার এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
বাম জমানায় জেলায় যে ধরনের সন্ত্রাসের পরিস্থিতি ছিল, বলতে গেলে বহু জায়গাতেই তেমন পরিস্থিতি হয়েছে। তৃণমূলও যে আক্রান্ত হচ্ছে না তা নয়। কোচবিহারে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও উঠছে।


এই পরিস্থিতিতে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ভোট হয়ে গিয়েছে। এ বার কোভিড মোকাবিলায় মন দিতে হবে। শান্তি বজায় রাখতে হবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশকে জানাতে হবে। শান্তি বজায় রাখতে পুলিশকেও সক্রিয় হতে বলেছিলেন তিনি।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনের পরেও হিংসা থামার নাম নেই। এ ঘটনা নিয়ে বিজেপি ইতিমধ্যে জাতীয় স্তরে প্রচারে নেমে পড়েছে। বুধবার গোটা দেশে এর প্রতিবাদে ধর্ণার ডাক দিয়েছে বিজেপি। তা ছাড়া দলীয় কর্মীদের মনোবল যোগাতে মঙ্গলবার কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা।

অন্যদিকে বামেরাও এই হিংসার সমালোচনা করেছেন। সোমবার রাতেই এ ব্যাপারে টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যপালকে ফোন করে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বোঝাতে চাইছেন, বাংলায় বিজেপি নিঃসঙ্গ নয়। সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব সবরকম ভাবেই তাঁদের পাশে রয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here